সরকারি জমি বেদখল রুখতে উচ্চপর্যায়ের কমিটি গড়ল নবান্ন, সদস্য কারা?
প্রতিদিন | ২২ জুন ২০২৪
নব্যেন্দু হাজরা: সরকারি জমি জবরদখলের লাগাতার অভিযোগ পেয়ে আগেই ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বৃহস্পতিবার তা নিয়ে নবান্নে বৈঠক করেন তিনি। সেখানে এভাবে জমি বেদখল হওয়া নিয়ে আমলা-পুলিশকে মুখ্যমন্ত্রীর ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়। কোন দপ্তরের কত জমি রয়েছে, তার তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশের পরই তড়িঘড়ি কাজে নামল নবান্ন (Nabanna)। শুক্রবার সরকারি জমি জবরদখল রুখতে পাঁচ সদস্যের উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর, কমিটিতে রয়েছেন শীর্ষ আমলারা। তাঁরা এই সংক্রান্ত নীতি তৈরি করবেন। কমিটিতে রয়েছেন আইএএস মনোজ পন্থ, প্রভাত মিশ্র, মনোজ ভার্মা, আইপিএস বিনীত গোয়েল। বিনীত গোয়েল কলকাতার পুলিশ কমিশনার।
বৃহস্পতিবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে সরকারি জমি বেদখল হওয়ার প্রসঙ্গ ওঠে। নবান্নে জমা পড়া তথ্য অনুযায়ী, কলকাতা, শিলিগুড়ি,আসানসোল, হলদিয়া পুর এলাকা ছাড়াও একাধিক জায়গায় প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত জমি বেদখল হচ্ছে। এতে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরাসরি তিনি আমলাদের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, কীভাবে সরকারি জমি বেহাত হচ্ছে? খোঁজ রাখা হচ্ছে না কেন? পুলিশ কমিশনার (CP) বিনীত গোয়েলও বৈঠকে ছিলেন। তাঁকে উদ্দেশ্য করে মুখ্য়মন্ত্রী প্রশ্ন করেন, পুলিশ কেন বিষয়টি দেখছে না? মমতার ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় সিপি বিনীত গোয়েলকে। কোন দপ্তরের কত পরিমাণ জমি রয়েছে, তার বিস্তারিত তালিকা বানানোর নির্দেশ দেন। তাঁর নির্দেশ পেয়ে সক্রিয় হয়ে ওঠেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
শুক্রবার শুক্রবার এডিজি, আইনশৃঙ্খলার নেতৃত্বে বৈঠক হয়। সেখানে উচ্চপর্যায়ের কমিটি (High Powered Committee)গঠন করা হয় নবান্নের তরফে। তাতে রয়েছেন একাধিক দপ্তরের শীর্ষ আমলারা। রয়েছেন পুলিশ কমিশনার নিজেও। এই কমিটির কাজ নিয়েও নির্দেশাবলি দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় পুলিশের (Local Police) সাহায্যে যে কোনও জমি দখল রুখতে হবে। এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের দেওয়া তথ্যও খতিয়ে দেখতে হবে। কোথাও কোনওরকম জমি দখলের অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গেই পদক্ষেপ নিতে হবে পুলিশকে।