কোন এলাকায় কত সরকারি জমি রয়েছে, সেগুলি কী অবস্থায় রয়েছে, সে বিষয়ে রিপোর্ট চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সরকারি জমি যদি দখল হয়ে গিয়ে থাকে, তা-ও দখলমুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যে রিপোর্ট জমা পড়েছে তাতে রয়েছে যে, সরকারি প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ জমিও বেহাত হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। কলকাতা শহরও তা থেকে বাদ নেই বলে খবর।
কয়েক মাস আগে একাধিক জেলার প্রশাসনিক সভাতেও ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের কাজ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন মমতা। প্রশাসনিক বৈঠকের মঞ্চ থেকে মমতার এ-ও অভিযোগ ছিল, নিচুতলার কিছু সরকারি কর্মীও এ সবের সঙ্গে যুক্ত। ‘ঘুঘুর বাসা’ ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য প্রশাসন সূত্রের খবর, সম্প্রতি জেলাভিত্তিক রিপোর্ট জমা পড়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। নবান্নের এক কর্তার বক্তব্য, ‘‘জেলায় প্রশাসনিক বৈঠকে ম্যাডাম যে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তা বাস্তবায়িত হয়নি। বদলায়নি পরিস্থিতিও। সে কারণেই তিনি ক্ষুব্ধ।’’ প্রশাসনিক সূত্রের আরও বক্তব্য, কলকাতা শহরেও সরকারি জমি বেহাত হচ্ছে বলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে খবর রয়েছে। সে ব্যাপারেই এ বার পদক্ষেপের পথে নবান্ন। উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন তারই ইঙ্গিত বলে মনে করছেন প্রশানিক মহলের অনেকে।