শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহের এজলাসে এই বিকল্প জায়গার নাম জানান বিজেপির আইনজীবী। বিচারপতি এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের মতামত জানতে চেয়েছেন। আগামী মঙ্গলবার উচ্চ আদালতে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। সে দিন রাজ্যকে নিজেদের অবস্থান জানাতে হবে।
রাজ্য পুলিশের ডিজির দফতর রয়েছে ভবানীভবনে। এ ছাড়া, নবান্নেও ডিজির দফতর রয়েছে। বিজেপি কোন জায়গায় কর্মসূচি করতে চেয়েছে, তা শুক্রবারের শুনানিতে স্পষ্ট করা হয়নি। পরবর্তী শুনানির দিন এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। আদালত বিজেপিকে বিকল্প জায়গার নাম ২১ জুনের মধ্যে জানাতে বলেছিল। শুক্রবার সেটাই জানানো হয়েছে।
রাজ্যে ভোট পরবর্তী ‘হিংসা’র ঘটনায় প্রতিবাদ জানাতে রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসতে চেয়েছে বিজেপি। তাদের বক্তব্য, ভোট পরবর্তী ‘হিংসা’য় বিজেপির অনেক কর্মী আক্রান্ত, ঘরছাড়া। বিষয়টি রাজ্যের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদাধিকারীর নজরে আনতে চায় তারা। সেই কারণে রাজভবনের সামনে প্রতীকী অবস্থানে বসার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু কলকাতা পুলিশ সেই কর্মসূচির অনুমতি দেয়নি। পুলিশের বক্তব্য, রাজভবনের সামনে ১৪৪ ধারা জারি থাকে। সেখানে এই ধরনের কর্মসূচি করা যায় না। পরিবর্তে অন্য কোথাও অবস্থানে বসার প্রস্তাবও প্রশাসনের তরফে দেওয়া হয়েছিল শুভেন্দুদের। কিন্তু তাঁরা তা মানতে চাননি। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হন।
আদালতে বিজেপির যুক্তি, গত অক্টোবর মাসে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের এক নেতা রাজভবনের সামনেই টানা পাঁচ দিন ধর্নায় বসেছিলেন। সে সময়ে পুলিশ তাঁদের আটকায়নি। তবে বিজেপির ক্ষেত্রে কেন অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না? বিচারপতি সিংহ বিজেপির আইনজীবীর এই যুক্তি প্রসঙ্গে জানান, শাসকদলের নেতা ধর্নায় বসেছিলেন বলেই বিজেপিকেও ওই একই জায়গায় ধর্নায় বসতে হবে, এটা কোনও যুক্তি হতে পারে না। তবে একই সঙ্গে অক্টোবরের ধর্নার সময়ে শাসকদলের ওই নেতার বিরুদ্ধে পুলিশ কী পদক্ষেপ করেছিল, তা-ও রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের (এজি) কাছে জানতে চেয়েছিলেন বিচারপতি সিংহ। এ বিষয়ে রাজ্য আদালতে কী জানায়, বিজেপি কোথায় কর্মসূচির অনুমতি পায়, সেটাই এখন দেখার।