বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই সদ্যবিজয়ীর শপথ নিয়ে পত্রযুদ্ধ শুরু হয়েছে রাজভবন ও বিধানসভার। শপথ নিয়ে শুরু এই টালবাহানায় বিরক্তি প্রকাশ করে বৃহস্পতিবার রাজ্যপালকে দীর্ঘ চিঠি পাঠিয়েছেন বিধানসভার স্পিকার। সরকারি সূত্রে খবর, রাজভবন ও নবান্নের মধ্যে চাপানউতোরে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তাতে শপথ-পর্ব থেকে সরে ছিল পরিষদীয় দফতর। তার বদলে রাজ্যপালের অনুমোদন চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল বিধানসভা। কিন্তু তার যে জবাব বিধানসভায় পৌঁছেছে, তাতে জট কাটেনি। বরং, এই সংক্রান্ত রীতি ও বিধি উল্লেখ করে রাজ্যপালের কাছে পাল্টা চিঠি পাঠিয়েছেন স্পিকার। এই চিঠিতে শপথ নিয়ে ‘সাংবিধানিক প্রথা’কে ‘সাংবিধানিক আইন’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার অনুরোধ করে সুপ্রিম কোর্টের দু’টি রায়ের উল্লেখ করে দিয়েছেন বিমান।
শপথের অনুরোধ করে বিধানসভার প্রথম চিঠির জবাবে রাজভবনের তরফে তিনটি তথ্য জানতে চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছিল দিন দুই আগে। সেই চিঠিতে শপথ সম্পর্কে কিছু উল্লেখ করা না হয়নি। তাতে বিধানসভার কাছে এই মুহূর্তে সব থেকে পুরনো মহিলা বিধায়ক, পুরনো তফসিলি ও জনজাতি বিধায়ক এবং সর্বকনিষ্ঠ বিধায়কের নাম জানতে চাওয়া হয়েছিল। সেই চিঠি পাওয়ার পরেই এ ব্যাপারে সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছেন স্পিকার। এই সূত্রে রাজ্যপালকে লেখা চিঠিতে স্পিকার বিধানসভা ও রাজভবনের পৃথক সাংবিধানিক মর্যাদার কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন। রাজভবনের পাঠানো চিঠিকে ‘অসম্মানজনক’ বলে উল্লেখ করেছেন স্পিকার। তিনি আরও লিখেছেন, ‘শপথ নিতে না পারায় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা নিজের কেন্দ্রের মানুষকে পরিষেবা দিতে পারছেন না। ফলে, সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। রাজ্যপাল এই পরিস্থিতি বিবেচনা করে যেন দ্রুত শপথের ব্যাপারে উপযুক্ত ভূমিকা পালন করেন’।