নতুন নির্দেশিকায় স্কুলবাস এবং স্কুলগাড়িতে নির্দিষ্ট আসন-সংখ্যার বেশি পড়ুয়া নেওয়া যাবে না। আসনে ‘সিট বেল্ট’ রাখতে বলা হয়েছে। স্কুলবাসের জানলায় গাঢ় ফিল্ম পেপার দেওয়া কাচ বা পর্দা ব্যবহার করা যাবে না। স্কুলের পক্ষ থেকে বাস ও গাড়ির জন্য নির্দিষ্ট কাউকে ট্রান্সপোর্ট ম্যানেজারের দায়িত্ব দিতে হবে। যাতে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়। বাস এবং গাড়ির ভিতরে চোখে পড়ে, এমন জায়গায় ট্রান্সপোর্ট ম্যানেজারের নাম, ফোন নম্বর, স্থানীয় থানা, দমকল এবং চাইল্ড লাইনের নম্বর লিখে রাখতে হবে। থাকবে ফার্স্ট-এড বক্স।
স্কুলবাসে হলুদ রং, নীল বর্ডার বাধ্যতামূলক। সামনে ও পিছনে স্কুলবাস লেখা থাকতে হবে। বাসে অবস্থান নির্ণায়ক যন্ত্র, প্যানিক বাটন এবং স্পিড লিমিট ডিভাইস থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সব ধরনের স্কুলগাড়ির ক্ষেত্রেই বাণিজ্যিক গাড়ি ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। বাস এবং গাড়িতে এক জন করে পরিচারক (সম্ভব হলে মহিলা) রাখায় জোর দেওয়া হয়েছে।
বাসচালক ও তাঁর সাহায্যকারী নিয়োগের ক্ষেত্রে দেখতে হবে, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা বা পুলিশি অভিযোগ রয়েছে কি না। ছ’মাস অন্তর চালকদের চোখ পরীক্ষা করানোর জন্য স্কুলকে বলা হয়েছে। গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণেও জোর দেওয়া হয়েছে। ট্রান্সপোর্ট ম্যানেজার ও চালকের ফোন নম্বর রাখতে হবে অভিভাবকদের। পরিবহণমন্ত্রী বলেন, ‘‘পড়ুয়াদের নিরাপত্তায় সব স্তরে সচেতনতা বাড়ানোয় জোর দিচ্ছে সরকার।’’