গড়িয়াহাটের ওই স্কুলটি বেসরকারি। স্কুলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অনুমোদিত পাঠ্যক্রম পড়ানো হয়। কয়েক জন অভিভাবক জানান, কয়েক দিন ধরে স্কুলে সারা দিনে মাত্র একটি-দু’টি পিরিয়ড হচ্ছে। কারণ হিসাবে তাঁরা জেনেছেন, স্কুলের অধিকাংশ শিক্ষক ইস্তফা দিয়েছেন। নিয়মিত তাঁদের বেতন না দেওয়ায় এই সিদ্ধান্ত। এ দিন এক পড়ুয়া বলে, ‘‘কবে থেকে নিয়মিত ক্লাস হবে, বৃহস্পতিবার সেই প্রশ্ন করি এক শিক্ষককে। শিক্ষকেরা গতকাল বলেন, মিটিং করে জানিয়ে দেওয়া হবে। আজ এসে জানতে পারি, স্কুল হচ্ছে না।’’
কসবার শিক্ষা ভবনে জেলা স্কুল পরিদর্শকের অফিসের এক আধিকারিক জানান, ওই স্কুলের কয়েক জন শিক্ষক গড়িয়াহাটের শিক্ষা ভবনে আসেন। তাঁদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ স্কুল চালানোর বিষয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন না। কয়েক মাস ধরে শিক্ষকদের বেতন হচ্ছে না। তাঁদের অধিকাংশ ইস্তফা দেওয়ায় স্কুলে শিক্ষকের সংখ্যা ৭০ শতাংশ কমেছে। পড়ুয়াও কমেছে। শিক্ষকদের প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্র্যাচুইটি নিয়েও সমস্যা রয়েছে। এই অবস্থায় স্কুলটি কার্যত বন্ধের মুখে।
ওই আধিকারিক জানান, দশম ও দ্বাদশের পড়ুয়ারা যাতে গড়িয়াহাটের কাছাকাছি কোনও স্কুলে ভর্তি হতে পারে, সেই চেষ্টা চলছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পাঠ্যক্রমে পড়ানো হয়, এলাকার এমন কয়েকটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের তালিকা দেওয়া হয়েছে অন্য শ্রেণির পড়ুয়ার অভিভাবকদের। এ দিন ওই স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কেউ ফোন ধরেননি।