• 'মোক্ষ যোগ', এবারে স্নানযাত্রার সারা দিন জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রা থাকলেন স্নানমঞ্চেই...
    আজকাল | ২২ জুন ২০২৪
  • মিল্টন সেন,হুগলি : সূচনা হল রথযাত্রার। অগনিত ভক্তের ভিড়ে সারা দিন ধরে চলল জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা। ৪৭ বছর পর এবারে স্নানযাত্রা হচ্ছে 'মোক্ষ যোগে'। প্রথা অনুযায়ী স্নানযাত্রায় থেকেছে ২৮ ঘড়া গঙ্গা জল আর দেড়মন দুধ। মহা সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হল শ্রীরামপুরে মাহেশের জগন্নাথ স্নানযাত্রা। মন্দিরের প্রধান সেবাইত সোমেন অধিকারী বলেন, সাধারণত অন্যান্য বছর স্নানের পরেই তিন বিগ্রহকে নিয়ে যাওয়া হয় মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরের গর্ভগৃহে। এবছর সেটা হবেনা। তিন বিগ্রহকে সারাদিন ধরে স্নানমঞ্চেই রাখা হবে। কারণ এবছর স্নানযাত্রার ‘মোক্ষ যোগ’ রয়েছে। ৪৭ বছর পরে এই যোগ এসেছে। সেই কারণেই জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রার বিগ্রহ ভক্তদের দর্শনের জন্য দিনভর স্নানমঞ্চেই রাখা হবে। পুজো চলবে সারাদিন। স্নানমঞ্চেই ভক্তদের উপস্থিতিতেই হবে ভোগ নিবেদন। স্নানমঞ্চে এবং মাঠে ম্যারাপ বাঁধা হয়েছে। মূলত স্নানযাত্রার মধ্য দিয়েই রথযাত্রা উৎসবের সূচনা হয়ে থাকে। এবছর ৬২৮ বর্ষে পদার্পণ করল মাহেশের রথযাত্রা একইসঙ্গে স্নানযাত্রা উৎসব। শনিবার ভোর সারে পাঁচটায় মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে জগন্নাথ দেবকে নিয়ে আসা হয় স্নান পিড়ির ঘাটের মঞ্চে। সেখানে সকাল ৬ টা ২০ থেকে শুরু হয় স্নানযাত্রা উৎসব। এদিন এই বিশেষ যোগে স্নানযাত্রাকে কেন্দ্র করে স্নান পিড়ির মাঠে উপচে পড়ে অগণিত ভক্তের সমাবেশ। রীতি অনুযায়ী স্নানমঞ্চে ২৮ ঘড়া গঙ্গাজল এবং দেড়মন দুধ দিয়ে স্নান করান হয় জগন্নাথ বলরাম ও সুভদ্রাকে। প্রাচীন রীতি অনুযায়ী মনে করা হয়, ওই পরিমাণ দুধ-গঙ্গাজলে স্নান করে তিন দেবতার জ্বর আসে। মন্দির বন্ধ রেখে সেবা-শুশ্রূষার পর কবিরাজের পাঁচন খেয়ে তাঁরা সুস্থ হন। তারপর সোজা রথের দিন ভাই বোনকে সঙ্গে নিয়ে রথে চেপে মাসির বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন জগন্নাথ।     
  • Link to this news (আজকাল)