• রেলবোর্ডের উপর ক্ষুব্ধ কর্মীরা
    আজকাল | ২২ জুন ২০২৪
  • তরুণ চক্রবর্তী:‌ কাঞ্চনজঙ্ঘা দুর্ঘটনায় মালগাড়ির চালককে ‘বলি কা বকরা’ বানাতে চাইছে রেলবোর্ড। তাই তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই দুর্ঘটনায় মৃত চালককে দোষী সাব্যস্ত করার চেষ্টা চলছে। একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে এমনই অভিযোগ করেন সর্বভারতীয় রেলকর্মী সংগঠনগুলির নেতারা। তাঁদের সাফ কথা, চালকদের মানসিক স্বাস্থ্য বা শারীরিক অবস্থার খেয়াল না রেখে অতিরিক্ত দায়িত্ব চাপানো হচ্ছে। খালি রাখা হয়েছে হাজার হাজার শূন্যপদ। আর দুর্ঘটনা ঘটলেই চালককেই বলির পাঁঠা করে দায় এড়াতে চাইছে সরকার। ভারতীয় রেলের লোকো রানিংমেন অর্গানাইজেশনের কার্যকরী সভাপতি সঞ্জয় পান্ধির মতে, কোনও চালকই ইচ্ছাকৃতভাবে সিগন্যাল অমান্য করতে চান না। আর এক্ষেত্রে তো চালককে আগাম ছাড়পত্রও দেওয়া হয়েছিল। তাই মালগাড়ির চালকের কাঁধে গোটা দুর্ঘটনার দায় চাপানোর চেষ্টার তীব্র প্রতিবাদ করেন তিনি।

    উত্তরবঙ্গে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট হাতে আসার আগে থেকেই রেলমন্ত্রক সমানে চালকের ভুল প্রমাণে ব্যস্ত। এতেই চটেছেন ইউনিয়নের নেতারা। অল ইন্ডিয়া রেলওয়ে মেনস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক গোপাল মিশ্রের অভিযোগ, তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই তদন্তকারীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা চলছে। নিহত চালকের কাঁধে গোটা ঘটনার দায় চাপিয়ে নিজেদের দোষ আড়াল করতে চাইছেন রেলকর্তারা। তাঁর প্রশ্ন, চালককে সিগন্যাল অতিক্রম করে যাওয়ার ছাড়পত্র কেন দেওয়া হয়েছিল? ন্যাশনাল ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান রেলওয়ের তরফেও রেলমন্ত্রকের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করা হয়। সংগঠনে সাধারণ সম্পাদক এম রাঘভাইয়ার মতে, ১৫ শতাংশ শূন্যপদ জিইয়ে রেখে চালকদের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনে বাধ্য করা হচ্ছে। তাঁদের ওপর মানসিক ও শারীরিক চাপ বাড়ছে বলেও মন্তব্য করেন। জানান, রেলমন্ত্রক ইঞ্জিনগুলিকে এসি করার কথা বললেও এখনও সেই কাজ কিছুই হয়নি। ফলে গরমের দিনে চরম অব্যবস্থার শিকার হন ট্রেনচালকেরা। তিনি মনে করিয়ে দেন, বাইরের তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি হলে ইঞ্জিনের ভেতরে তা দাঁড়ায় ৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও চালকদের টানা তিন–চারদিন ডিউটি করতে বাধ্য করছে রেল। এখন আবার দুর্ঘটনার যাবতীয় দায় তাঁদের কাঁধেই চাপানোয় কড়া ভাষায় নিন্দা করেন সর্বভারতীয় রেল ইউনিয়নগুলির নেতারা।‌
  • Link to this news (আজকাল)