যদিও যে শিক্ষকের বিরুদ্ধে এই মারধরের অভিযোগ উঠেছে সেই শিক্ষক বিজয় দাস উল্টে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধেই অন্যায়, অত্যাচার ও নির্যাতন চালানোর অভিযোগ করেছেন থানায়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ব্যাপক উত্তেজনাময় পরিস্থিতি তৈরি হয় স্কুল ও রানিগঞ্জ থানা চত্বরে। ঘটনা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধান শিক্ষক প্রতিম চট্টোপাধ্যায় ২০১৯ সালে রানিগঞ্জ হাইস্কুলের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে তাঁর বনিবনা হচ্ছে না। প্রধান শিক্ষক স্কুলের সভাপতি স্থানীয় বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। কোন কোন শিক্ষক কী কী ক্লাস নেবেন, সেই নিয়ে প্রায় দিনই ঝামেলা অশান্তি লেগেই থাকে শিক্ষকদের মধ্যে। আজ শনিবার সেই ঝামেলা ও অশান্তি মারামারির পর্যায়ে পৌঁছে যায়। রক্তাক্ত হন প্রধান শিক্ষক। স্কুলের মারামারি পৌঁছয় গিয়ে থানায়। পড়াশোনা ওঠে লাটে।
জানা গিয়েছে, স্কুলের শিক্ষক বিজয় দাসের স্ত্রী শিক্ষক পাপিয়া মন্ডল এদিন ক্লাসে যাননি। প্রধান শিক্ষক সেই নিয়ে বকাবকি করতেই ছুটে আসেন বিজয় দাস। তারপরই শুরু হয় বচসা, তা থেকে হাতাহাতি। পাপিয়া মন্ডল অভিযোগ করেন, প্রধান শিক্ষক সবসময় শিক্ষকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। যেখানে সেখানে অভিযোগ করেন। কখন কাকে কোন ক্লাস দেন, কাউকে কিছু জানান না। কারও সঙ্গে কোনরকম বনিবনা হয় না। সেই জন্য স্কুলের পঠন-পাঠন ঠিকভাবে হচ্ছে না। অন্যদিকে প্রধান শিক্ষক প্রতিম চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, ক্লাসে যাননি বলে তার প্রতিবাদ করাতেই এই ঘটনা। এটা কোন নতুন ঘটনা নয়। প্রায়ই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে এই স্কুলে।