• হেরিটেজ হলং বাংলোয় আগুন কীভাবে? প্রকাশ্যে রিপোর্ট....
    ২৪ ঘন্টা | ২২ জুন ২০২৪
  • সুতপা সেন:  হলং বনবাংলোর আগুন লাগার ঘটনায় তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়ল মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার কাছে। রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, হলং বাংলোর এসি বন্ধ করা ছিল। কোনও এসি চলছিল না। তবে মেইন সুইচ অন করা ছিল। আগুন লেগেছিল শর্ট-সার্কিট হয়েই। কীভাবে শর্ট সার্কিট হল সে ব্যাপারেও আভাস মিলেছে তদন্ত রিপোর্টে।

    হলং বাংলায় ইঁদুরের উৎপাত। ওখানে অনেক ইঁদুর আছে বলেই রিপোর্টে জানা গেছে। ইঁদুর কোনও তার কেটে দিয়ে থাকতে পারে বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে। আগুন লেগে যাওয়ার পর একের পর এক এসি ফেটে যায় বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। অনেকগুলো এসি একসঙ্গে বার্স্ট করে যাওয়ায় মুহূর্তে আগুন দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। এছাড়াও ৫৭ বছরের পুরনো বাংলোর কাঠ হচ্ছে শুকনো কাঠ, ফলে তা দ্রুত জ্বলে গিয়েছিল। কাঠের বাড়ি জলের হাত থেকে বাঁচাতে যে বার্নিশ বা পালিশ করা হয় তাও আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়াতে সাহায্য করেছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, জলদাপাড়া অভয়ারণ্যের মধ্যে অবস্থিত হলং বাংলো বাঙালির প্রিয় পর্যটনস্থল। সেই হলং বাংলোয় অগ্নিকাণ্ডে ৮টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। প্রথমে মনে করা হয়েছিল যে, এসির শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে। মঙ্গলবার রাত ৯টা নাগাদ সম্পূর্ণ কাঠের তৈরি এই হেরিটেজ বাংলোয় আগুন লাগে। আগুন লাগার খবর পেয়েই দমকলের দুটো ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। কিন্তু তাতে কোনও কাজ হয়নি। বাংলোর কর্মীরাও অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে খুব একটা কাজ হয়নি। সম্পূর্ণ বাংলোটি কাঠের তৈরি হওয়ায় দ্রুত তাতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। শেষপর্যন্ত পুরো বাংলোটিটাই পুড়ে ছাই হয়ে যায়। 

    তবে ১৫ জুন থেকে জঙ্গল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাংলোটিতে এই সময় কোনও পর্যটক ছিলেন না। পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু ছিল এই হলং বাংলো। ভিআইপি থেকে দেশ-বিদেশের বহু পর্যটকরা এই বাংলোতে আসতেন। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন জ্যোতি বসু নিয়মিত এই বাংলোতে যেতেন। ১৯৬৭ সালে তৈরি হওয়া এই বনবাংলো ডুয়ার্সের জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু ছিল। এর পরিচালনা করত ওয়েস্ট বেঙ্গল টুরিজ্যম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন। 

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)