জামিন অধরাই থাকল, শাহজাহানকে আরও ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠাল আদালত
হিন্দুস্তান টাইমস | ২২ জুন ২০২৪
সন্দেশখালিতে ইডির উপর হামলার ঘটনায় গত সপ্তাহে জামিন পেয়েছেন শাহজাহান শেখের ঘনিষ্ঠ অনুগামী ফারুক আকঞ্জি। তবে এবারও জামিন পেলেন না বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। শুক্রবার ১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষে শাহজাহানকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। আদালতে জামিনের আবেদন করেন শাহজাহানের আইনজীবী। তবে বিচারক সেই আর্জি খারিজ করে দেন।
বৃহস্পতিবার শাহজাহানের আইনজীবীদের জামিন আবেদন করলে সিবিআইয়ের আইনজীবী তার তীব্র বিরোধিতা করেন। দীর্ঘক্ষণ দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারক শাহজাহানের জামিনের আবেদন খারিজ করে ফেরত তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠান। আগামী ৫ জুলাই ফের শাহজাহানকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। ফলে এবারও জামিন অধরা রইল শাহজাহানের।
উল্লেখ্য, সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছিল গত ৫ জনুয়ারি। ওইদিন রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তের জন্য শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। তাদের সঙ্গে বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানও ছিলেন। সেখানে শাহজাহানের সমর্থকরা তাদের ওপর হামলা চালায়। সেই ঘটনায় জখম হয়েছিলেন ইডির ৩ জন আধিকারিক। পরে তাদের হাসপাতালে ভরতি করা হয়।
এমনকী অধিকারিকদের ল্যাপটপ, মোবাইল এবং নগদ টাকাও কেড়ে নেওয়া হয়েছিল অভিযোগ। তারপরেই গা ঢাকা দিয়েছিল শেখ শাহাজাহান। সেই ঘটনায় ন্যাজাট থানায় দুটি এফআইআর হয়েছিল। মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। শাহজাহান গ্রেফতার করতে না পারায় রীতিমতো কলকাতা হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়েছিল পুলিশ। পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই ঘটনার তদন্তভার নেয় সিবিআই। এদিকে, এরপরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি। প্রকাশ্যে আসে নারী নির্যাতনের একাধিক অভিযোগ। নির্বাচনের আগে সন্দেশখালির সেই ঘটনা সারা ফেলে দিয়েছিল গোটা রাজ্যে। যার ফলে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল সরকারকে। পরে শাহজাহানকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ।
শাহজাহানের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়। যার মধ্যে একটি মামলায় তিনি ইতিমধ্যেই জামিন পেয়েছেন। তবে অন্যান্য মামলাগুলিতে জামিন মেলেনি। এই ঘটনায় সিবিআইয়ের পাশাপাশি তদন্ত করছে ইডি। ইতিমধ্যেই আদালতে ইডির তরফে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে।প্রসঙ্গত, এদিন শাহজাহান ছাড়াও তার ভাই শেখ আলমগীর ও দিদার বক্স মোল্লাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়।