লোকসভা নির্বাচনের আগে কুকথার প্রতিযোগিতা দেখা গিয়েছিল বঙ্গ রাজনীতিতে। আগামী মাসেই ফের রাজ্যের চার কেন্দ্রের বিধানসভা উপনির্বাচন। উপনির্বাচনের আগেও লাগামছাড়া হুমকি বাগদায়। তৃণমূল নেতাদের হাঁটুর মালাইচাকি ভেঙে দেওয়ার কথা বলে বিতর্কে জড়ালেন বিজেপি জেলা সভাপতি। পালটা জবাব তৃণমূলের।বিধানসভা উপনির্বাচনের আগে বাগদার মন্ডপঘাটাতে কর্মী সভার আয়োজন করেছিল বিজেপি। সেখানে তৃণমূল ছেড়ে যোগ দেন তৃণমূলের প্রাক্তন উপ-প্রধান ও বর্তমান পঞ্চায়েত সদস্য মধুসূদন মিস্ত্রি। ওই কর্মী সভায় উপস্থিত ছিলেন বনগাঁর সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরও। ওই কর্মী সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বিজেপির বনগাঁ সংগঠনিক জেলা সভাপতি দেবদাস মণ্ডলকে কিছু কড়া বার্তা দিতে দেখা যায়।
দেবদাস মণ্ডলকে বলতে শোনা যায়, ‘ভোট লুঠ করতে আসলে তিন হাত লম্বা ডান্ডা দিয়ে তৃণমূলের চোর ডাকাতদের হাঁটুর মালাইচাকি ভেঙে দেবেন। পুলিশ যদি দালালি করতে আসে, তাহলে ওই বাগদা থানায় তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হবে।’ আগামী ১০ তারিখ বাগদার উপনির্বাচন। তারই আগে বিজেপির জেলা সভাপতি এই বক্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। কর্মী সভা শেষে বাগদার বিজেপি প্রার্থী বিনয় কুমার বিশ্বাসের সমর্থনে বাগদার মন্ডপঘাটা থেকে শুরু করে হেলেঞ্চা বাজার অবধি মিছিল করা হয়। মিছিলে পা মেলান কয়েকশো কর্মী সমর্থক।
তবে, জেলা সভাপতির বক্তব্য সম্বন্ধে কিছু না বললেও বিজেপি সাংসদ তথা প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেন, ‘বাগদা হল বিজেপির দুর্জয় ঘাঁটি। এখন থেকে বিজেপিকে হারানো সম্ভব হয়। তৃণমূল কংগ্রেস যাঁকে খুশি এনে এখানে প্রচার করতে পারে, এখানে আমাদের জেলা সভাপতি একই কাফি।’ এই বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপি ভালো লিড নিয়ে এই কেন্দ্র থেকে জিতবে বলে দাবি করেন তিনি।
তবে, বিজেপি জেলা সভাপতির বক্তব্য নিয়ে তৃণমূল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘এত বড়ো একটা লোকসভা নির্বাচন গেল, সেখান একটাও অভিযোগ করতে পারেনি। আমাদের মানুষের প্রতি আস্থা-ভরসা আছে। যাঁদের মানুষষের প্রতি আস্থা-বিশ্বাস নেই তাঁরাই এই ধরনের কথা বলে।’ এদিন, তৃণমূলের প্রাক্তন উপ-প্রধান ও বর্তমান পঞ্চায়েত সদস্য মধুসূদন মিস্ত্রির বিজেপিতে যোগদান করার বিষয়টি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘ওঁদের আমরা আগেই দল থেকে বহিস্কার করে দিয়েছিলাম। ওঁদের আবার যোগদানের কি আছে। ওঁরা লোকসভা নির্বাচনে সরাসরি বিজেপির সঙ্গে থেকেই কাজ করেছে।’