• ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে তোড়জোড় শুরু, দাসপুরে পরিদর্শনে সেচ দফতরের কর্তারা
    এই সময় | ২৩ জুন ২০২৪
  • ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান করতেই হবে - এই শর্তে ফের লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ দেব। কেন্দ্র টাকা না দিলে এই প্রকল্পের কাজ রাজ্যই করবে আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভায় জিতেই সেচ দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন দেব। বৈঠকের দশ দিনের মাথাতেই তোড়জোড় শুরু সেচ দফতরের।ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে রূপায়ন নিয়ে গত ১২ই জুন সেচ দফতরের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন ঘাটালের সাংসদ দেব। আর সেই বৈঠকেই ঠিক হয়েছিল, আপাতত ঘাটালের বন্যার জলের চাপ কমাতে দাসপুরের দুই সেচ খাল চন্দেশ্বর ও শোলাটোপা খালকে গভীর খনন করা হবে। সেই বৈঠকের ১০ দিনের মাথায় সেচ দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা আজ শনিবার এসেছিলেন দাসপুরে।

    পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন তাঁরা। সেই বৈঠকেই প্রস্তাব ছিল দাসপুরের দুটি সেচ খালকে শিলাবতী ও কংসাবতীর সাথে যুক্ত করে জলের চাপ কমানো হবে। কী করে কাজটি সম্পন্ন করা যায়, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে আজ দাসপুরে এসেছিলেন সেচ দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। এছাড়াও সঙ্গে ছিলেন ঘাটাল দাসপুরের একাধিক শাসকদলের নেতৃত্বরা, উপস্থিত ছিলেন জেলা সেচ দফতরের একাধিক আধিকারিকেরা প্রতিনিধি দলটি দাসপুরের চন্দেশ্বর খালের মুখ থেকে দাসপুরের সুরতপুর পর্যন্ত এলাকায় পরিদর্শন করেন। প্রায় ৫ কিলোমিটার প্রস্তাবিত খাল কাটার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

    লোকসভা ভোটে এই কেন্দ্রে প্রধান ইস্যু ছিল ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান। এই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানকে হাতিয়ার করেছিল তৃণমূল থেকে বিরোধীরা। এই কেন্দ্র থেকে ফের দেবের উপরেই ভরসা রেখেছে সাধারণ মানুষ। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী হিরণ বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করেন অভিনেতা সাংসদ দেব। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ব্যাপারে কথা দিয়ে এসেছেন দেব। নির্বাচনের মেটার পরেই এই প্রকল্পের কাজে আরও গতি বাড়তে শুরু করেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

    উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার আগে নিজেকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে নেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন দেবা। বিশেষত, তাঁর এই কেন্দ্রে বহুদিনের প্রস্তাবিত এই প্রকল্প শেষ না হওয়ার জন্য উষ্মাপ্রকাশ করেন দেব। ঘাটালের মানুষের দীর্ঘদিনের জল যন্ত্রনা থেকে মুক্তি দিতে এই প্রকল্পের ব্যাপারে রাজ্যের তরফে কেন্দ্রের কাছেও বারবার দরবার করা হয়েছিল। শেষমেশ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করে এই প্রকল্পটি শেষ করার জন্য আশ্বাস পান তিনি।
  • Link to this news (এই সময়)