• গলা থেকে ধাতব পাইপিং ব্যাগ বার করে শিশুকে বাঁচাল মেডিক্যাল কলেজ ...
    আজকাল | ২৩ জুন ২০২৪
  • বিভাস ভট্টাচার্য: গলায় ঢুকে গেছিল কেকের ওপর ক্রিম দিয়ে নাম লেখার পাইপিং ব্যাগ। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল ১১ মাসের শিশুটির। বাড়িতে চেষ্টা করেও পাইপিং ব্যাগটি বের করতে না পেরে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে শুক্রবার রাতে শিশুটিকে নিয়ে আসেন তার অভিভাবকরা। জরুরি বিভাগ থেকে শিশুটিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় ইএনটি বিভাগে। জরুরি ভিত্তিতে রাতেই করা হয় অস্ত্রোপচার। বের করে নিয়ে আসা হয় ওই ব্যাগটি। বিপন্মুক্ত হয় শিশুটি।

    ঠিক কী হয়েছিল? ইএনটি চিকিৎসক ডা. অনিন্দ্য মিত্র বলেন, 'শিশুটির বাড়ি হাওড়ার উদয়নারায়নপুরে। খেলতে খেলতে কোনওভাবে ওই জিনিসটি সে মুখে ঢুকিয়ে ফেলে। যেটা তার জিভের পেছনে গলার মধ্যে কিছুটা ঢুকে যায়। কিছুটা শ্বাসনালীতে আর কিছুটা খাদ্যনালীতে। বাড়ির লোক বের করার চেষ্টা করলে ভেতরে কিছুটা রক্তপাতও হয়।'

    ব্যর্থ হয়ে এরপর হাসপাতালে নিয়ে আসেন শিশুটির অভিভাবকরা। ডা.অনিন্দ্য মিত্র বলেন, 'নি:শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল বলে শিশুটির রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছিল। শারীরিক অসুবিধার জন্য বাচ্চাটি খুব ছটফটও করছিল। অপারেশন থিয়েটারে তার হাতের শিরার মাধ্যমে ওষুধ ঢুকিয়ে তাকে আচ্ছন্ন করে ফরসেপের সাহায্যে ওই বস্তুটি বের করা হয়। অস্ত্রোপচারে প্রায় দেড় ঘণ্টা সময় লেগেছে। প্রাথমিকভাবে দেখে মনে হয়েছে জিনিসটি একটি ধাতব বস্তু।'

    অস্ত্রোপচারের পর রাতে শিশুটিকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। শনিবার বেলার দিকে তাকে ভেন্টিলেশন থেকে বের করে আনা হয়েছে। শিশুটি এখন সুস্থ আছে। স্বাভাবিকভাবেই শ্বাস নিচ্ছে। মায়ের দুধও খেয়েছে বলে জানিয়েছেন ডা. অনিন্দ্য মিত্র। অস্ত্রোপচারে তিনি ছাড়াও ছিলেন ডা. দিব্যা দাগা, ডা. শবরী ঘোষ এবং দুই অ্যানাসথেসিস্ট ডা.রিনা মজুমদার এবং ডা. অদ্রিজা চক্রবর্তী।

    ডা. অনিন্দ্য মিত্র বলেন, 'জিনিসটি বাড়িতে বের করার চেষ্টা করতে গিয়ে যে রক্তপাত হয়েছিল সেটা যদি কোনওভাবে শিশুটির ফুসফুসে চলে যেত তবে বিপজ্জনক হতে পারত।'
  • Link to this news (আজকাল)