অনুষ্ঠানের শুরুতে ৫০-টি শিশুবৃক্ষ দিয়ে বরণপর্ব শুরু হয়। ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্য পদ্মশ্রী ধনীরাম টোটো বার্তা দিলেন- “মানুষের জন্মের সাথে পাঁচটা গাছ এবং মরণের সাথে দশটা গাছ যেন আমরা রোপণ করতে পারি। আজ থেকেই শুরু হোক এই অঙ্গীকার।” সমাজসেবী অমরচাঁদ কুণ্ডু মহাশয় বার্তা দিলেন,”টাকার অভাবে যেন মেধাবি সন্তানের পড়া বন্ধ না হয়। প্রয়োজনে আমি সাহায্য করব।” দেড়ঘন্টার এই অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা পরিবেশন করল কোরাস সঙ্গীত -“আলো আমার আলো…”। প্লাস্টিকের বিরূদ্ধে বিদ্রোহ তুলে ধরলেন, শিল্পী চারকিসিং টোটো। পাতার বাঁশি বাজিয়ে তিনি বিদ্যালয়ে আনলেন পাহাড়িয়া সবুজের উদাস সুর। দিলে টোটো তুলে ধরলেন টোটোদের ট্রাডিশনাল নৃত্য। সবশেষে ধনীরাম টোটো ধাতুর বাঁশিতে টোটো সুর তুলে অনুষ্ঠানের ইতি টানলেন। সাথে সাথে বৃষ্টি নামল ঝেঁপে। মাটির সোঁদা গন্ধে ভরা বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা, শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ ও সম্মানীয় অতিথিরা সকলে একসাথে মধ্যাহ্ন আহার সেরে শোনালেন, ‘বাজলো ছুটির ঘন্টা ‘।