স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, খবর দেওয়ার পরেও ৩০-৪০ মিনিট দেরি করে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকল। প্রায় পাঁচ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ ওই বাড়িতে রাসায়নিক মজুদ ছিল। যে কারণে বড়োসড়ো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল। স্থানীয় বাসিন্দারা এও জানিয়েছেন, ওই বাড়িটিতে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা যথাযথ ছিল না। অন্যদিকে, শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে যান মন্ত্রী সুজিত বসু। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন আইনজীবীরা। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, বাড়িতে রাসায়নিক মজুদ থাকা সত্ত্বেও, কেন তা নজরে পড়ল না প্রশাসনের।
বিক্ষোভকারী আইনজীবীদের প্রশ্ন, মামলার নথিপত্রে পুড়ে যাওয়ায়, তার ক্ষতিপূরণ কে দেবে? ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মন্ত্রী সুজিত বসু জানান, ” বাড়িটি অনেক পুরনো। আগুন নেভানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাড়িতে থাকা সকলকে তাড়াতাড়ি বের করা হয়েছে। হতাহতের কোনও খবর নেই। শুনেছি এখানে রাসায়নিক মজুদ করা ছিল। যদি সত্যি হয় খুব খারাপ বিষয়। পুলিশ, দমকলের তরফে তদন্ত করতে বলব। কলকাতায় বহু পুরনো বাড়ি রয়েছে। পুরসভাকে বলব সংস্কারের বন্দোবস্ত করা হোক। ” তবে ওই বাড়িটিতে কিভাবে আগুন লাগল, সেই বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছুই জানায়নি দমকল। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে দমকলের তরফে।