• হাতির হানা থেকে বাঁচতে অভিনব কায়দা! বোকা বনে ফিরে যাচ্ছে রাগী দাঁতালও ...
    ২৪ ঘন্টা | ২৩ জুন ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: হাতির সঙ্গে লড়াই করে আর নয়, এবার হাতিকে বোকা বানিয়ে নিজেদের ঘরবাড়ি রক্ষা করার ভাবনায় মন দিলেন মালবাজার মহকুমার মেটেলি ব্লকের উত্তর ধুপঝোরা মাকরাপাড়া এলাকার মানুষ। প্রায় প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকায় হাতির হামলার খবর আসছে। ঘরবাড়ি, দোকানপাট ভাঙচুরের পাশাপাশি প্রাণহানির আশঙ্কাও বাড়ছে প্রতিদিনই। কী ভাবে নিজেদের ফসল, ঘরবাড়ি বাঁচাবেন গ্রামবাসীরা?

    এ নিয়ে সকলেই এক প্রকার দিশেহারা। ধারালো তার, ব্লেডের মতো ধারালো কিছু বা বৈদ্যুতিক তার-- এসব কিছু হাতির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক বলে জঙ্গল-লাগোয়া মানুষজন কখনোই এসব ব্যবহার করতে চান না। তাঁরা চান না, তাঁদের জন্য বন্য জন্তুর কোনও ক্ষতি হোক। কিন্তু নিজেদের ক্ষতি কী ভাবে রোধ করা যায়? 

    এবার হাতি তাড়ানোর এক অভিনব পন্থা অবলম্বন করলেন মাকরাপাড়া এলাকার মানুষজন। মোটা ধাতব তার দিয়ে তাঁরা ঘিরে ফেলছেন তাঁদের বাড়ির চারপাশ। এবার সেই তারে ঝুলিয়ে দিচ্ছেন পলিথিন (এ ক্ষেত্রে নীল রঙের)। যখনই হাতি এসে ঘরবাড়ি আক্রমণ করতে উদ্যত হচ্ছে, তখনই ঘরের কাছে পৌঁছনোর আগেই ওই তার হাতির সংস্পর্শে আসছে। এসেই তা শব্দ উৎপাদন করছে। পলিথিন থেকে তৈরি হওয়া ওই আওয়াজে কিছুটা হলেও ভয় পাচ্ছে হাতি। একবার এমন হলে অন্যত্রও হাতি এই তার ও তাতে বাঁধা পলিথিন দেখে ভয় পাচ্ছে! ফলে বাড়িরর সামনে ঘেঁসছে না। রক্ষা পাচ্ছে বাড়িঘর। এদিকে বন্যপ্রাণেরও কোনও ক্ষতি হচ্ছে না।

    উত্তর ধুপঝোরা মাকড়াপাড়া এলাকাটি চাপড়ামারি জঙ্গল সংলগ্ন হওয়ায় মাঝেমধ্যেই হাতি মূর্তি নদী পেরিয়ে চলে আসছে ওই এলাকায়। কিছুদিন আগেও ওই এলাকায় হাতির হানায় বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এলাকায় কী করে হাতির হানা রোখা যায়, তা নিয়ে চিন্তায় ছিলেন এলাকার জনগণ। অবশেষে এই পন্থা অবলম্বন করার পরে এখন আর হাতি বাড়িতে আক্রমণ করছে না বলে মত বাসিন্দাদের। এলাকার বাসিন্দা জীবন খেড়িয়া, বিশ্বজিৎ খেড়িয়ারা বলেন, বর্তমানে প্রায় প্রতিদিনই রাতে এলাকায় হাতি আসছে। এর আগেও হাতির হানায় বহু ঘরবাড়ি ভেঙেছে। কোনও দিনই হাতির হানা এখানে কম ছিল না। অবশেষে এইভাবে তারের মধ্যে প্লাস্টিক ঝুলিয়ে রাখার ফলে এখন আর বাড়ির ভিতরে হাতি ঢুকছে না। এলাকায় হাতি এলেও তারের সংস্পর্শে আসার পরেই হাতি ফিরে যায়। এলাকার প্রতিটি বাড়িই এইভাবে তারের মধ্যে প্লাস্টিক ঝুলিয়ে ঘেরা হয়েছে। এর ফলে হাতিদেরও কোন সমস্যা হয় না। 

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)