• রাজ্যের দুই জেলায় গোপন অভিযান, এসটিএফের জালে একাধিক সন্দেহভাজন বাংলাদেশি জঙ্গি
    প্রতিদিন | ২৩ জুন ২০২৪
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের রাজ্যে জঙ্গির সন্ধান। শনিবার পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলায় অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশি জঙ্গি সন্দেহে কয়েকজনকে আটক করেছে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স বা এসটিএফ। তাদের পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে এসটিএফ। আটকদের মধ্যে তিনজন সরাসরি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত বলে সন্দহ এসটিএফের। কয়েকজন ওই জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিতে যাওয়ার পথে এসটিএফের হাতে ধরা পড়েছে। আটকদের মধ্যে একজন কলেজ ছাত্রও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তার ভাই স্কুল ছাত্র। তাকেও আটক করেছে।

    সূত্রের খবর, এদিন বিকেলের দিকে কাঁকসা থানা থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে মীরেপাড়া এলাকায় হানা দেয় এসটিএফ। সেখানে মহম্মদ হবিবুল্লা নামে এক কলেজ ছাত্রকে আটক করে কাঁকসা থানায় নিয়ে গিয়ে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করে। হবিবুল্লাহ পূর্ব বর্ধমানের বুদবুদ থানা এলাকার মানকর কলেজের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। বাংলাদেশের আনসার উল ইসলাম নামে একটি সংগঠনেল সঙ্গে যুক্ত বলে জানতে পেরেছে এসটিএফ। ওই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে তথ্য আদানপ্রদানের কথা জানতে পারে। সেই সূত্রেই তাকে আটক করেছে। হবিবুল্লাহ ছাড়াও তার বাবা মহম্মদ ইসমাইল মুন্না ও পরিবারের কয়েকজনকে আটক করেছে এসটিএফ। হবিবুল্লার বাড়ি থেকে বেশ কিছু নথি ও সামগ্রীও উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। হবিবুল্লাহ সহ বাকিদের কাঁকসা থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

    এদিকে, বর্ধমানের নবাবহাট এলাকাতেও এদিন অভিযান চালায় এসটিএফ। সেখান থেকে কয়েকজনকে আটক করে কাঁকসা থানায় নিয়ে গিয়েছে এসটিএফ। তাদেরও সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। নবাবহাট থেকে যাদের ধরা হয়েছে তাদের কয়েকজন ওই জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিতে যাচ্ছিল। তার আগেই তাদের জালে তুলেছে এসটিএফ। তাদের মধ্যে একজন নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছেন এসটিএফের আধিকারিকরা। হবিবুল্লাহ ভাই অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র তাকেও আটক করেছে এসটিএফ। সকলকেই কাঁকসা থানায় এদিন রাত পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়েছে এসটিএফ। এদিন এসটিএফের প্রায় ২০ জনের দলটি অভিযান চালায়। যদিও ঘটনার বিষয়ে কিছু বলতে চায়নি এসটিএফ।

    হবিবুল্লাহকে আটক করার পর স্থানীয় তৃণমূল নেতা পল্লব বন্দ্যোপাধ্যায়কে থানায় ডেকেছিল এসটিএফ। পরে থানা থেকে বেরিয়ে পল্লব বলেন, “জঙ্গি সন্দেহে একজনকে ধরেছে এসটিএফ। এলাকায় কোনও সমস্যা যাতে না হয় তার‌ জন্য পুলিশ ডেকেছিল। ছেলেটাকে চিনি কিনা জানতে চেয়েছিল আমার কাছে। তবে ছেলেটাকে চিনি না। ওর বাবাকে চিনি। বাংলার প্রশাসন যথেষ্ট সক্রিয় ও দায়িত্বশীল। ঘটনা যদি কিছু ঘটেও থাকে তা দুর্ভাগ্যজনক।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)