• ‘আটকে রাখা যদি বেআইনি হয়, দায়িত্ব কে নেবেন?’ বিচারকের প্রশ্নে চুপ সিবিআই
    বর্তমান | ২৯ নভেম্বর ২০২২
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারকের প্রশ্নের মুখে আরও একবার কার্যত অসহায় দেখাল সিবিআইকে। সোমবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, শান্তিপ্রসাদ সিনহা সহ সাত অভিযুক্তকে আলিপুর আদালতে তোলা হয়। আইনজীবীরা যে কোনও শর্তে তাঁদের মক্কেলের জামিনের আবেদন করেন। বিরোধিতা করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী। দু’পক্ষের সওয়াল শেষে বিচারক সাতজনকেই ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। তবে তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে বিচারক এদিন যে ভাষায় সিবিআইয়ের আইনজীবীকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছেন, তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। চার্জশিট জমা দেওয়ার পর কোন আইনি যুক্তিতে অভিযুক্তদের জেলবন্দি রাখা হচ্ছে, সেই প্রশ্নই সিবিাইয়ের আইনজীবীর দিকে ছুড়ে দিয়েছেন বিচারক। এমনকী, এভাবে আটকে রাখার বিষয়টি পরবর্তীকালে ‘বেআইনি’ বলে ঘোষিত হলে তার দায় কে নেবে, সেই প্রশ্ন তুলেছে আদালত। প্রসঙ্গত, তদন্তের ধীর গতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে কিছুদিন আগেই সিট বা বিশেষ তদন্তকারী দলের সদস্যদের বদলে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। নবগঠিত সিটে নবম-দশম শ্রেণির দুর্নীতি মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছেন অংশুমান সাহা।

    এদিন আলিপুরের চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক রাণা দাম সিবিআইয়ের আইনজীবীকে জিজ্ঞাসা করেন, তদন্ত কি অনন্তকাল ধরে চলবে? ১৫০ দিন কেটে গেল, কবে শেষ হবে তদন্ত? সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, জানা নেই। আপনি কেস ডায়েরি দেখুন। তারপরই বিচারক বলেন, অভিযুক্তদের জামিন দিতে অসুবিধা কোথায়? যদি দেখা যায়, ওঁদের আটকে রাখা বেআইনি, তখন কোন আধিকারিক দায়িত্ব নেবেন? এই প্রশ্নে চুপ করে যান সিবিআইয়ের আইনজীবী। আদালতে তাঁর দাবি, এটা একটা বৃহত্তর ষড়যন্ত্র। এই মামলা অন্যভাবে দেখা দরকার। বিচারক পাল্টা বলেন, আইনে এ ধরনের কোনও সংস্থান নেই। সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় গোটা প্রক্রিয়ার মাস্টারমাইন্ড। তিনি এই প্রক্রিয়া মসৃণভাবে চালিয়ে নিয়ে যেতেই শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে নির্দিষ্ট পদে বসান। পার্থর আইনজীবী সেলিম রহমান বলেন, আমার মক্কেল ষড়যন্ত্রের শিকার। শান্তিপ্রসাদের আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্তর বক্তব্য, চার্জশিট দাখিল করার পরেও সিবিআই বলছে এখনও তদন্ত বাকি। তাহলে তো এই চার্জশিটের কোনও মান্যতাই নেই। এদিন তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, পঞ্চায়েত নির্বাচনে কে জিতবে? প্রাক্তন মহাসচিবের উত্তর, তৃণমূল। বেহালার কয়েকজন তৃণমূল কর্মী তাঁর সঙ্গে দেখাও করেন। 
  • Link to this news (বর্তমান)