সংবাদদাতা, উলুবেড়িয়া: শুক্রবার সন্ধ্যায় এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে বাগনানের কাছারিপাড়ায়। গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ উঠেছে তার শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। উত্তেজিত জনতা এই ঘটনার প্রতিবাদে গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ি ভাঙচুর, লুটপাটের পাশাপাশি বাইকেও আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ। গৃহবধূর বাপের বাড়ির সদস্যরা জামাই সহ আটজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তে নেমে বাগনান থানার পুলিস ওইদিন রাতেই মূল অভিযুক্ত মৃতার স্বামী মইদুল মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে। শনিবার ধৃতকে উলুবেড়িয়া আদালতে পেশ করা হলে বিচারক চারদিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেন। যদিও এদিন আদালতে যাওয়ার সময় মইদুল দাবি করে, কয়েকদিন ধরেই তার স্ত্রী মণীষা মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। সেই অবসাদ থেকেই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন।
মৃতার বাপের বাড়ির বক্তব্য, মইদুল মিথ্যা অভিযোগ করছে। ১২ বছর আগে মইদুলের সঙ্গে মণীষার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় ছেলের বাড়ির দাবি মতো এক লক্ষ টাকা নগদ, ন’ ভরি সোনার গয়না সহ যাবতীয় জিনিস যৌতুক হিসেবে দেওয়া হয়েছিল। বিয়ের পর থেকেই মণীষার উপর নানাভাবে অত্যাচার করত মইদুল ও তার পরিবারের লোকজন। তাঁদের অভিযোগ, সম্প্রতি মণীষাকে মারধর করার পাশাপাশি বাপের বাড়ি থেকে আরও টাকা আনার জন্য চাপ দিচ্ছিল তারা। উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন মণীষা। যদিও মৃতার পরিবারের দাবি, আমাদের মেয়েকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।