রাজ্যের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র দিঘা। রাজ্য সরকারের হাত ধরে সেজে উঠছে স্বপ্ন সুন্দরী দিঘা। গড়ে উঠছে ধর্মীয় স্থান থেকে ঝাঁ চকচকে রাস্তা ও পার্ক। ফলে জেলা, রাজ্য, দেশ এমনকি ভিন দেশ থেকে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েছে। পর্যটকদের মুক্ত পরিবেশে সময় কাটানোর ব্যবস্থা করতেই জেলা প্রশাসনের বিশেষ উদ্যোগ।শনিবার সৈকত নগরী দিঘার রাস্তা পাশে অবৈধ ভাবে বসে থাকা ঝুঁপড়ি ও অস্থায়ী দোকান উচ্ছেদ অভিযানে নামে দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের আধিকারিকরা। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার এড়াতে মজুত ছিল দিঘা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। সৈকত নগরীকে সুন্দর ও স্বচ্ছ রূপ প্রদানে উদ্যোগী প্রশাসন। নিউ দিঘা থেকে ওল্ড দিঘা পর্যন্ত শনিবার রাস্তার দু'ধারে অবৈধ ভাবে যেসব হকাররা রাস্তা দখল করে ব্যবসা করছিল, তাঁদের উচ্ছেদ অভিযানে যান পর্ষদের আধিকারিকরা।
রাস্তা দখল করে ব্যবসা করায় দিঘার আগত পর্যটকদের যাতায়াতের ভীষণ সমস্যা হচ্ছিল বলেও অভিযোগ রয়েছে। ভিন রাজ্য শুধু নয়, ভিন দেশের বহু পর্যটক সৈকত নগরী দিঘায় বেড়াতে আসেন। রাস্তার দু’ধারে যত্রতত্র অবৈধভাবে জায়গা দখল করে যে সমস্ত হকাররা বসেছে তাঁদের দীর্ঘদিন ধরে সরে যাওয়ার জন্য বলা হলেও তাঁরা কোনও গুরত্ব দেয়নি। সেই কারণেই এহেন কড়া পদক্ষেপ নিল প্রশাসন।
এই প্রসঙ্গে দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের হেড ক্লার্ক চন্দন কর্মকার বলেন, ‘দিঘায় অবৈধ হকার উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়েছে। আগে থেকে ব্যবসায়ীদের জানানো হয়েছিল। তাঁরা কোনও নির্দেশ মান্যতা দেয়নি।’ সরকারি জমি বেহাত হয়ে যাচ্ছে বলে আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারের এক শ্রেণির আমলা এবং পুলিশ কর্তাদের নিয়ে গত সপ্তাহে বৈঠক করেছিলেন তিনি। কোন এলাকায় কত সরকারি জমি রয়েছে, সেগুলি কী অবস্থায় রয়েছে, সে বিষয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়।
গত শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় দেখা যায় জেলা শাসকের দফতরের আশেপাশে যে সমস্ত অস্থায়ী দোকান রয়েছে সমস্ত দোকান সরিয়ে নিচ্ছেন দোকানদারেরা। অস্থায়ী দোকানদারেরা জানান, তারা প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে এই জেলা শাসকের দফতরের পাশে অস্থায়ী দোকান করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। কিন্তু জেলাশাসক নির্দেশ দিয়েছেন এই অস্থায়ী দোকান রাখা যাবে না, তাই দোকানদারেরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করবেন এমনটাই জানান দোকানদারেরা। এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলাশাসক বলেন, ‘দ্রুত দোকানঘর সরিয়ে না নিলে প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’