চলতি বছরের দ্বিতীয় এই লোক আদালতে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার মামলা নিয়ে আসা হয়েছিল। লোক আদালতের প্রতি মানুষকে আকর্ষিত করতে এ দিন জেলা আইনি পরিষেবা সংস্থার বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্য হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সঙ্গীতশিল্পী পদ্মশ্রী রতন কাহার, রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক কল্যাণ ভট্টাচার্য, শিক্ষারত্ন প্রাপক শিক্ষিকা সুজাতা সাহা দাস প্রমুখ। প্রসঙ্গত, যে সমস্ত মামলা দীর্ঘদিন ধরে আটকে রয়েছে বা যেখানে বাদী ও বিবাদী উভয় পক্ষই মিটমাট করে নিতে রাজি, জেলার আদালতগুলিতে জমে থাকা সেই ধরনের মামলাগুলি তুলে আনা হয় লোক আদালতের সামনে। ঋণ খেলাপি, দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণ, পারিবারিক ঝামেলা-সহ সমস্ত রকম দেওয়ানি মামলার পাশাপাশি যে-সব ফৌজদারি মামলায় মিটমাট হওয়া সম্ভব, সেগুলি লোক আদালতের কাছে পেশ করা হয়।
জেলা আইনি পরিষেবা সংস্থার সচিব সুপর্ণা রায় জানান, বীরভূমের জেলা জজ আরতি শর্মা রায়ের তত্ত্বাবধানে এই বছরের দ্বিতীয় লোক আদালত হয়েছে। সেখানে মোট নিস্পত্তি হওয়া মামলার আর্থিক পরিমাণ প্রায় ৭ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। সুপর্ণা রায় বলেন, “লোক আদালতে মামলা আসার সংখ্যা ও নিষ্পত্তির সংখ্যা বাড়ছে। নিজেদের মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির আশায় লোক আদালতের প্রতি সাধারণ মানুষের ভরসাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী দিনে আমরা এই সংখ্যাকেও ছাপিয়ে যাব।”