স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতার নাম প্রিয়সী পাল। ২২ বছরের ওই তরুণী সাংবাদিকতা নিয়ে পড়াশোনা করতেন। পরিবারের সদস্যেরা জানাচ্ছেন, সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর পাশ করার পর নিউ টাউনের একটি প্রতিষ্ঠানে ‘সামার ইন্টার্নশিপ’ কোর্স করছিলেন। রোজ বাড়ি থেকেই নিউ টাউন যাতায়াত করতেন প্রিয়সী। মৃতার মা মৌসুমী পাল জানান, শনিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন মেয়ে। প্রথমে ট্রেন ধরে হাওড়া। সেখান থেকে অ্যাপ বাইকে করে প্রতিষ্ঠানে গিয়েছিলেন। সন্ধ্যা তখন পৌনে ৭টা। একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন পান তিনি। ফোনের ও প্রান্ত থেকে জানানো হয় দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তাঁর মেয়ে।
পরে নিউ টাউনের একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ফোন পান তিনি। তড়িঘড়ি হাসপাতালের দিকে রওনা হন। কিন্তু তত ক্ষণে মৃত্যু হয়েছে মেয়ের। প্রিয়সীর পরিবারের দাবি, বেপরোয়া গতিতে বাইক চালানোর ফলে এই পরিণতি। তবে ওই বাইকচালকের শারীরিক পরিস্থিতি কেমন আছে, তা জানা সম্ভব হয়নি।
মৃতার মা বলেন, ‘‘র্যাপিডো অ্যাপ থেকে বাইক ভাড়া করে নিউ টাউনের দিকে যাচ্ছিল মেয়ে। সেখানেই এই দুর্ঘটনা হয়।’’ কোদালিয়া-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুকান্ত ঘোষ জানান, ওই পরিবার সূত্রে তিনি এই মর্মান্তিক খবর জানতে পেরেছেন। বাইক দুর্ঘটনায় প্রিয়সীর ঘাড়ের শিরা ছিঁড়ে যাওয়ার ফলে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তিনি পুলিশি পদক্ষেপের দাবি তুলেছেন। এই মর্মান্তিক খবরে শোকস্তব্ধ গোটা এলাকা।