পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় টোটোচালক প্রদীপ রবিবার ভোরে বাড়ি থেকে বার হন। সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয় গ্রাম সংলগ্ন রেললাইন থেকে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে রেলপুলিশ। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
প্রদীপের ভাই রঞ্জিত বলেন, ‘‘সকালে খবর পেলাম দাদার দুর্ঘটনা হয়েছে। মনে হয়, মালগাড়ির ধাক্কায় এ রকম হয়েছে।’’ পরিবার প্রাথমিক ভাবে একে দুর্ঘটনা বলে মনে করলেও বিজেপি তা মনে করছে না। জেলা সভাপতির দাবি, প্রদীপের মৃত্যুর নেপথ্যে ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। ভোটের আগে তৃণমূলের লোকজনের সঙ্গে তাঁর ঝামেলা হয়েছিল বলেও দাবি তাঁর। ধ্রুব বলেন, ‘‘ভোটের আগে অনেক ঝামেলা হয়েছিল। খুবই লড়াকু কর্মী ছিলেন প্রদীপ। তৃণমূলের লোকেরা নাকি বলছেন, আত্মহত্যা করেছেন প্রদীপ। কিন্তু আমার সন্দেহ আছে। এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি করছি। প্রদীপের পরিবারের পাশে আছি। এই ঘটনার নেপথ্যে বৃহত্তর কোনও ষড়যন্ত্র আছে কি না, তা জানতে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।’’