• প্রতিবাদ নিট-‘দুর্নীতি’ নিয়ে, প্রশ্ন কলেজে ভর্তির পোর্টালে
    আনন্দবাজার | ২৩ জুন ২০২৪
  • নিট ও নেট পরীক্ষার ‘কেলেঙ্কারিকে’ সামনে রেখে শনিবার কলকাতায় আলাদা করে পথে নামল এসএফআই, যুব কংগ্রেস, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ, এমনকি সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি-ও। জাতীয় স্তরের ভর্তির পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থা এনটিএ-কে ভেঙে দেওয়া ও শিক্ষাকে ‘দুর্নীতি’-মুক্ত করার দাবিতে আগামী ২৫ জুন বামেদের চার বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই, পিএসইউ, এআইএসএফ এবং ছাত্র ব্লক শ্যামবাজার থেকে কলেজ স্ট্রিট পর্যন্ত ‘মহামিছিলে’র ডাক দিয়েছে। কার্যত একই দাবিতে আগামী ২৪ জুন কলকাতায় ছাত্র-বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে এসইউসি-র ছাত্র সংগঠন ডিএসও।

    এনটিএ-এর নেওয়া নিট এবং ইউজিসি-নেট পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে যে ‘কেলেঙ্কারির’ অভিযোগ উঠেছে, তাতে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এ দিন বারাসতে মিছিল এবং কলোনি মোড়ে অবরোধ করেছিল এসএফআই। এই ‘দুর্নীতির’ প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের পদত্যাগ দাবি করেছে তারা। একই বিষয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের পদত্যাগ দাবি করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ আশুতোষ কলেজের সামনে ও যুব কংগ্রেস রাজভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। পাশাপাশি, এনটিএ ও ইউজিসি-র চেয়ারম্যানের পদত্যাগ চেয়ে কলেজ স্কোয়ারে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে এবিভিপি-ও। কেন্দ্রের তৈরি সংস্থার বিরুদ্ধে এমন বিক্ষোভ নিয়ে সংগঠনের তরফে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার এনটিএ তৈরি করলেও এটি স্বশাসিত সংস্থা। পড়ুয়া-স্বার্থে তাদের এই কর্মসূচি জানিয়ে এবিভিপি বলেছে, আদালতের তত্ত্বাবধানে সিবিআই তদন্ত হোক। নেট এবং নিট পরীক্ষা জন্য পড়ুয়াদের কাছ থেকে নেওয়া টাকা ফেরত দেওয়ারও দাবি জানিয়েছে তারা।

    ছাত্র সংগঠনগুলির এমন বিক্ষোভ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য, “এটা একটা বিচ্যুতি। বিচ্যুতি হলে ছাত্র সংগঠন প্রতিবাদ করবে। এটা তাদের কর্তব্য। কেন্দ্র দুর্নীতির মূল উপড়ে ফেলতে বদ্ধপরিকর। ইতিমধ্যে সিবিআই তদন্ত শুরু হচ্ছে। কেউ ছাড় পাবে না।”

    এ দিকে, আগামী কাল, সোমবার থেকে রাজ্যে কলেজে ভর্তির জন্য ফর্‌ম অনলাইনে জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। তার আগে এ দিন কলকাতায় দীনেশ মজুমদার ভবনে চার বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই, পিএসইউ, এআইএসএফ এবং ছাত্র ব্লক ভর্তির পোর্টাল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এসএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে’র অভিযোগ, “কলেজে ভর্তির জন্য রাজ্য একটিই পোর্টাল খুলেছে। এই সিদ্ধান্তে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির স্বাধিকার খর্ব হচ্ছে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ভাবে অনলাইনে ভর্তির ব্যবস্থা করুক।” ওই সংগঠনগুলির আশঙ্কা, কেন্দ্রীয় ভাবে এই ভর্তি-ব্যবস্থায় গ্রামের পড়ুয়ারা শহরের কলেজগুলির ফর্‌ম তুলবেন। ফলে, গ্রামের কলেজগুলির আসন খালি থাকবে। সেই আসন টাকার বিনিময় বিক্রি করতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।

  • Link to this news (আনন্দবাজার)