ধোঁয়া দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ, এখনও বাড়ির ভিতরের আগুন ঠিক ভাবে নেভেনি। কোথাও কোথাও হয়তো ‘পকেট ফায়ার’ রয়ে গিয়েছে। সেখান থেকে আবার বড়সড় কোনও বিপদের আশঙ্কা আছে কি না, তা নিয়ে ধন্দে স্থানীয়েরা। অগ্নিকাণ্ডের এক দিন পরেও তাই গার্স্টিন প্লেস নিয়ে আতঙ্ক কাটেনি।
কলকাতার প্রাণকেন্দ্রে এই গার্স্টিন প্লেসের সঙ্গে শহরের ঐতিহ্য এবং ইতিহাস আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে। ইংরেজ স্থপতি তথা ‘টাউন হল’-এর নির্মাতা জন গার্স্টিন এখানে ব্যবসার প্রয়োজনে পর পর পাঁচটি বাড়ি তৈরি করেছিলেন। পরে তার নাম হয় গার্স্টিন প্লেস। সেখানকার এক নম্বর বাড়ি থেকেই শুরু হয়েছিল দেশের প্রথম বেতার বা রেডিয়োর পথ চলা। পরে অবশ্য ময়দানের আকাশবাণী ভবনে রেডিয়োর দফতর সরে গিয়েছে। তবে গার্স্টিন প্লেসে জড়িয়ে রয়েছে সেই শুরুর ইতিহাস।
এই গার্স্টিন প্লেসের চার এবং পাঁচ নম্বর বাড়ি এখনও আগের মতো রয়ে গিয়েছে। শতাব্দীপ্রাচীন সেই ভবনেই শনিবার আগুন লেগে গিয়েছিল। ভোর সাড়ে ৩টে নাগাদ আগুন লেগেছিল বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছিল চারপাশ। কী ভাবে অগ্নিকাণ্ড, তা স্পষ্ট নয় এখনও। তবে আগুনে প্রায় ভস্মীভূত হয়েছে ভবনের একটা বড় অংশ। ফলে পুরনো এই ভবন ভেঙে পড়ার আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে।
অভিযোগ, গার্স্টিন প্লেসে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়েও দেরি করে পৌঁছেছিল দমকল। যে কারণে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়েরা। ওই এলাকায় যে সমস্ত অফিস রয়েছে, সেখানকার কর্মচারীরাও বিক্ষোভে শামিল হয়েছিলেন। পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। তাঁকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখানো হয়।