সন্দীপ ঘোষ চৌধুরী: ফের বন্যপ্রাণী শিকারের অভিযোগ। জানা গিয়েছে, বন্যপ্রাণী শিকারের ৩৮ জন শিকারিকে আটক করল বন দফতরের কর্মীরা। ঘটনাটি ঘটে বর্ধমানের কেতুগ্রামের কোমরপুর গ্রামে। শনিবার সন্ধ্যায় কেতুগ্রাম থানার কোমরপুর গ্রামের কাছে ৩৮ জন আদিবাসী শিকারীকে আটক করে। এরপর অভিযুক্তদের কেতুগ্রাম থানায় নিয়ে আসা হয়।
সাপ, বেজি, গোসাপ, বনবিড়াল ও বিভিন্ন রকমের বন্য পাখি শিকার করে তারা। জানা গিয়েছে, ধৃত ৩৮ জনই বীরভূম জেলার বিভিন্ন জায়গার বাসিন্দা। কেতুগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় শিকার করে ফিরছিলেন অভিযুক্তরা। ফেরার পথেই তাদের আটক করে বনদফতরের কর্মীরা।
আরও জানা যায়, এই ধৃত আদিবাসীদের পূর্বপুরুষ থেকে 'অমতি' নামক এক উৎসব হয়ে আসছে। সেই উৎসবের একদিনই তারা বিভিন্ন পশু পাখি শিকার করে থাকে। কিন্তু আজকে শিকার করে বাড়ি ফেরার পথে বনদফতরের কর্মীরা তাদেরকে আটক করে পরে থানায় নিয়ে আসে। অভিযুক্ত এক শিকারী বলেন যে এইভাবে বন্যপ্রাণী হত্যা করা সরকার নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন সেটা আমরা জানতাম না আমরা। যদিও এই বিষয়ে বনদফতরের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
প্রথমে ৩৮ জন গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে ৮ নাবালক, তাদের বয়স ১৬ থেকে ১৭ এর মধ্যে হওয়ায় তাদেরকে ছেড়ে দেয় পুলিস। ইতোমধ্যে ৩০ জন আদিবাসীকে গ্রেফতার করেছে। এই ৩০ জনের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী স্বীকার হত্যার মামলা করা হয়েছে। ৩০ জন আদিবাসীকে আজ কাটোয়া কোর্টে তোলা হবে।