রাজা দাস, বালুরঘাট: দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনে মহিলার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য এল পুলিশের হাতে। খুনের পর প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহাংশ টুকরো করে চাষের জমিতে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। পরে মহিলার কাটা পা উদ্ধারের ঘটনায় গোটা বিষয়টি সামনে আসে। পুলিশের দাবি, ঘটনায় ধৃত সাদ্দাম সরকার জেরায় এসব স্বীকার করেছে। অভিযুক্তকে রবিবার বালুরঘাট আদালতে পেশ করে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করেছে।
শুক্রবার বিকেলে তপন (Tapan) ব্লকের তরিয়ট এলাকায় জমি থেকে এক মহিলার পায়ের অংশ উদ্ধার হয়। অপরদিকে এলাকা থেকে কিছু দূরে কার্তিকপুর পশ্চিম নিমপুর এলাকার সুরাখা খাতুন নামে এক গৃহবধূ গত ১৮ জুন নিখোঁজ হন। পরিবারের সদস্যরা জুতো দেখে ওই মহিলাকে শনাক্ত করেন। শনিবার মৃতের (Death) পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তপন থানার পুলিশ তদন্তে নামে। সাদ্দাম সরকার নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে পুলিশের। অনুমান, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের (Extra marrital affair) জেরে মহিলাকে খুন করা হয়েছে।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, খুনের পর ট্রাক্টরের (Tractor) রোটাওয়েটার দিয়ে দেহাংশ কাটা হয়েছে। এর পর সেই দেহাংশ জমির নানা জায়গায় মাটিতে মিশিয়ে লুকিয়ে রাখা হয়৷ রবিবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার (SP) চিন্ময় মিত্তাল সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, পুলিশ তদন্ত নেমে সাদ্দাম সরকার নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশি জেলায় সে গোটা ঘটনার কথা স্বীকার করেছে। তাকে আদালতে পেশ করে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন করা হয়েছে। সাদ্দামকে হেফাজতে নিয়ে হত্যাকাণ্ডের খুঁটিনাটি জানতে চায় পুলিশ।