কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় আতঙ্ক, বাড়ি থেকেই পরিষেবা কাউন্সিলরের
এই সময় | ২৩ জুন ২০২৪
গড়িয়া স্টেশনের কাছেই তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়। সেখানেই শনিবার হামলা চালানো হয়। গোটা পার্টি অফিস তছনছ করে দিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে কাঁটা স্থানীয় কাউন্সিলর। যদিও, প্রশাসনের উপর বর্ষা রেখেছেন তিনি। আপাতত, বাড়ি থেকেই মানুষকে পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছেন কাউন্সিলর পিন্টু দেবনাথ।কাউন্সিলারের অফিসে ভাঙচুরের ঘটনায় ইতিমধ্যে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। অসিত হালদার, টুকাই জোশ, তারক দাস, গোপাল দেবনাথ নামে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের আজ বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ।
তবে, আতঙ্কের মধ্যেই বাড়ি থেকে সাধারণ মানুষের পরিষেবা চালিয়ে যাচ্ছেন রাজপুর সোনারপুর পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পিন্টু দেবনাথ। শনিবার দুপুরে গড়িয়া স্টেশন চত্বরে পিন্টুর কার্যালয়ে হামলা চলে। জখম হন মোট তিনজন। তারপর থেকে কার্যালয়ে কাজকর্ম বন্ধ। এ দিনও কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ভাঙা কাঁচ, জিনিসপত্র। এমত অবস্থায় কার্যালয়ে যেতে না পারলেও বাড়ি থেকে ওয়ার্ডের বিভিন্ন কাজ চালাচ্ছেন কাউন্সিলর। বাড়িতেই তাঁর সঙ্গে বিভিন্ন প্রয়োজনে দেখা করতে আসছেন এলাকার লোকজন সহ দলীয় কর্মীরা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফের তিনি কার্যালয় গিয়ে বসবেন বলে জানান কাউন্সিলর। তবে, গোটা ঘটনায় পুলিশ সঠিক তদন্ত করে দেখুন, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক, এমনটি জানিয়েছেন তৃণমূল কাউন্সিলর।
পিন্টু এদিন বলেন, ‘যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়, তারা তৃণমূল হতে পারে না। ওদের তৃণমূলের লোক বললে পাপ হবে।’ ঘটনায় রীতিমত আতঙ্কে রয়েছেন বলে জানান পিন্টু। তাঁর দাবি, কার্যালয়ে থাকলে ওইদিন তাঁর উপরেও আক্রমণ হত। এমনকি, প্রাণ সংশয় হতে পারত বলেও আশঙ্কা তাঁর। পিন্টু জানান, অভিযুক্তরা আগে বিজেপি করত। পরে তৃণমূলে আসে। কিন্তু এলাকায় বিভিন্ন অনৈতিক কাজে যুক্ত থাকায়, তাদের অনেক আগেই দল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল।'
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের প্রত্যেকেই FIR-এ নাম আছে। বাকি অভিযুক্তদের সন্ধানে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। শনিবার সারারাত ধরে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে এদেরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। হামলার ঘটনায় গুরুতর জখম হয় বাপি হাজরা, প্রতাপ মিশ্র ও রাজকুমার ও বাপ্পা। প্রত্যেকেই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।