পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সেরা পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম হল হলদিয়া হাজরা মোড়ের মৈত্রীভূমি। ২০২৪ সালে ৫৫ তম বছরে পা দিতে চলেছে তারা। আর চলতি বছর থিমেই সেজে উঠবে সংশ্লিষ্ট পুজো মণ্ডপ।থিম এবং সাবেকিয়ানা পুজোর খেলা মূলত চলে কলকাতায়। চোখ ধাঁধানো থিমে সেজে ওঠে একের পর এক প্যান্ডেল। কিন্তু, এবার হলদিয়া জেলার এই পুজোও সাবেকিয়ানার বদলে বেছে নিয়েছে থিমকেই। চলতি বছর 'কুরুক্ষেত্র' থিমের আদলে সাজতে চলেছে তাদের পুজোমণ্ডপ।
সংশ্লিষ্ট পুজোর বাজেটও চমকে দেবে শহর কলকাতার একাধিক উদ্যোক্তাদের। ৫০ লাখ টাকা খরচ ধার্য্য করা হয়েছে এই পুজোর জন্য। ৭ জুলাই রথযাত্রার দিন খুঁটি পুজোর মধ্য দিয়ে প্রস্তুতি শুরু হতে চলেছে। চতুর্থীর দিন মণ্ডপের দরজা খুলে দেওয়া হবে সাধারণ মানুষের জন্য। জেলার যে কয়েকটি বিগ বাজেটের থিমের পুজো হয়ে থাকে তার মধ্যে অন্যতম মৈত্রীভূমি। একাধিকবার এই পুজোর মুকুটে জুটেছে বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান। হলদিয়া মেচেদা রাজ্য সড়কে হাজরা মোড় বাসস্ট্যান্ডেই পাশেই এই পুজো মণ্ডপ সেজে ওঠে।
কিন্তু, কেন হঠাৎ করে এই থিম বেছে নেওয়া হল পুজোর জন্য? এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে উদ্যোক্তারা জানান, সকলেই কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের কথা জানেন। বর্তমান সমাজেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে লড়াই চলে। সেই দুই লড়াইকে সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরার জন্য এই থিমকে বেছে নেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষের কাছে এই থিমের মাধ্যমে অভিনব বার্তা তুলে দেওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা।
পুজোর সম্পাদক আশিস হাজরা জানান, প্রতি বছর দর্শনার্থীদের সুন্দর থিমের মণ্ডপ এবং প্রতিমা উপহার দেওয়ার চেষ্টা করি। এই বারও তার ব্যতিক্রম হবে না। শুধু পুজোর সময় নয়, সারা বছর ধরেই এই পুজোর উদ্য়োক্তারা সমাজ সেবার সঙ্গে যুক্ত থাকে বলে জানান তিনি। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো হোক বা বৃক্ষ রোপণ, রক্তদান, স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। পুজোর কয়েকটি দিন লাখ লাখ মানুষের সমাগম ঘটে সেখানে।
কোনওভাবেই ভিড়ের কারণে যাতে কোনও অঘটন না ঘটে সেই কারণে নিরাপত্তার আঁটসাট ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রবেশ এবং প্রস্থানের দরজাও বেশ বড় রাখা হয়েছে যাতে কোনও হুড়োহুড়ি না পড়ে যায়। পাশাপাশি পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন থাকবে বলেও পুজো কমিটির তরফে জানানো হয়েছে।