এক শৃঙ্গ গণ্ডারের ছবিতে সাজল ট্রেনের ইঞ্জিন, কেন এমন উদ্যোগ রেলের?
এই সময় | ২৩ জুন ২০২৪
এক শৃঙ্গ গণ্ডার বললেই কাজিরাঙার পর উঠে আসে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের নাম। জাতীয় উদ্যানের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হল এই প্রাণী। বিপন্ন প্রাণীকে বুক দিয়ে আগলে রেখেছে জলদাপাড়ার জঙ্গল। এক শৃঙ্গ গণ্ডারের মাহাত্ম্য তুলে ধরতে এবার দারুণ উদ্যোগ নিল উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে।উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের অধীনস্থ একটি ট্রেনের ইঞ্জিনকে নতুন করে সাজানো হল। রেলের ইঞ্জিনের গায়ে পড়ল হল সবুজ-নীল রঙের ছটা। ইঞ্জিনের গায়ে ফুটিয়ে তোলা হল এক শৃঙ্গ গণ্ডারের ছবি। জঙ্গল এবং বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য-এর কথা মাথায় রেখে লাগানো হল সবুজ রং। নদী এবং জলাশয়ের জন্য নীল রং এবং জলদাপাড়ার এক শিংওয়ালা গণ্ডারের ছবি ফুটে উঠল রেলের ইঞ্জিনের গায়ে। জলদাপাড়ার উন্নতমানের জীব বৈচিত্রের বার্তা তুলে ধরতেই নেওয়া হল এই উদ্যোগ।
এক শিংওয়ালা গণ্ডার একটি বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী এবং শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কিছু জাতীয় উদ্যান বা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে দেখা যায়। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হল এর ভারতীয় এক শিংওয়ালা গণ্ডার। জলপাইগুড়ির গোরুমারা ও আলিপুরদুয়ারের জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানেই পাওয়া যায় এক শৃঙ্গ গণ্ডার।
জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের নীলপাড়া, জলপাইগুড়ি গরুমারা জাতীয় উদ্যানের পার্শ্ববর্তী ধুপগুড়ির নাথুয়ার জঙ্গল, চাপড়ামারি অভয়ারণ্য ও গোরুমারা জঙ্গলের মাঝের জঙ্গল এলাকায় এই এক শৃঙ্গ গণ্ডারের বাস ভূমি তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া মহানন্দা অভয়ারণ্য গণ্ডারের বিচরণ ভূমির জন্য ভালো বলে জানিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। সেই কারণেই নিমতি, নীলপাড়া, নাথুয়া, মহানন্দাতে গণ্ডারের থাকার জন্য ঘাস লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে গত কয়েক মাসে।
তবে, রেলের তরফে স্থানীয় সংস্কৃতি-ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে, দেশের লাইফ লাইনের সঙ্গে তার সংমিশ্রণ ঘটাতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়। গোরুমারা, জলদাপাড়া সহ গোটা ডুয়ার্স অঞ্চল পর্যটনের দিক থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রচুর পর্যটকরা প্রতি বছর আসেন জঙ্গল ঘুরতে। পাশাপাশি, জঙ্গলের ধার দিয়ে রেলপথে যাত্রাও পর্যটকদের আকর্ষণীয় বিষয়।