হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের তেলজান্না স্লুইস গেট এলাকার কৃষকদের অভিযোগ, কৃষকবন্ধু প্রকল্পের তালিকায় তাদের নাম থাকলেও টাকা তারা পাচ্ছেন না। টাকা চলে যাচ্ছে অন্যের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। এমনকী নাবালকদের নামেও খোলা হয়েছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। এমনকী বিহারের বাসিন্দার অ্যাকাউন্টে ঢুকছে বাংলার কৃষকবন্ধু প্রকল্পের টাকা। শুধু কৃষকবন্ধু নয়, অন্যান্য একাধিক সরকারি প্রকল্পের টাকা এভাবে অন্যের অ্যাকাউন্টে চলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁদের। একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রের কর্মী একথা তাঁদের জানিয়েছেন।
কৃষকদের অভিযোগ সম্পর্কে কিচ্ছু জানেন না বলে জানিয়েছেন হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের বিডিও। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ জানালে তদন্ত করব।’ স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের দাবি, ‘দুর্নীতি হয়ে থাকলে তার দায় বিজেপির। কারণ লোকসভা ভোটে পোস্টাল ব্যালটে মালদা উত্তর কেন্দ্রে বিজেপি জিতেছে। বিজেপি সমর্থক সেই সরকারি কর্মীরাই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত।’
রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘ওখানে একজন গ্রাহক সেবা কেন্দ্রের মালিক লোক খেপানোর চেষ্টা করছেন। সমস্ত যোগ্য কৃষক টাকা পেয়েছেন। গুজবে কান দেবেন না।’