দুর্গাপুর পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের নবীনপল্লি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বেআইনি মদের কারবার চলছিল বলে অভিযোগ। মাতালের উৎপাতে রাস্তায় বেরনো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল স্থানীয় মহিলাদের। লোকসভা ভোটের আগে মহিলারা সংগঠিত হয়ে সেখানে সমস্ত মদের ঠেক ভেঙে দেন। তাদের সংগঠিত করেন এক গৃহবধূ। অভিযোগ, ওই ঘটনার পরই গৃহবধূর স্বামীকে বেসরকারি কারখানার চাকরি থেকে বরখাস্ত করিয়ে দেয় তৃণমূল। এর পর ওই বধূকে লাগাতার কুপ্রস্তাব দিতে থাকে তারা।
বধূর পরিবারের দাবি, স্থানীয় পুরপ্রতিনিধি দেবব্রত সাঁইকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি বলেন, ‘সামনেই পুরসভা ভোট। এখন ওদের ঘাঁটাতে পারব না।’
এই নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে বধূর পরিবারে টানাপোড়েন চলছিল। এরই মধ্যে শুক্রবার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন ওই গৃহবধূ। পরিবারের লোকেরা দেখতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। প্রাণ বাঁচলেও তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় মহিলাদের দাবি, তাঁরাও তৃণমূল করেন। কিন্তু পাড়ার মধ্যে মদের কারবার মেনে নেবেন না তাঁরা। বেআইনি মদের কারবারের বিরুদ্ধে মহিলাদের সংগঠিত করায় ওকে তৃণমূল কর্মীরা লাগাতার কুপ্রস্তাব দিচ্ছিল। তার জেরেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে ও।
পুরপ্রধান দেবব্রত সাঁই বলেন, ‘আমি মীমাংসার জন্য ২ পক্ষকেই ডেকেছিলাম। কিন্তু এক পক্ষ আসেনি। তাই কোনও সিদ্ধান্তে আসা যায়নি।’
স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘড়ুই বলেন, ‘দুর্গাপুরও সন্দেশখালি হয়ে যাচ্ছে। তৃণমূলের লম্পটদের থেকে সম্ভ্রম বাঁচাতে মহিলা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। এটা অত্যন্ত উদ্বেগের।’