কেষ্ট গড়ে বিজেপিতে বড় ভাঙন, ফের পঞ্চায়েত দখলের পথে তৃণমূল
এই সময় | ২৪ জুন ২০২৪
লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে কার্যত ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। টার্গেটের থেকে অনেকটাই কম আসনে থামতে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। লোকসভার পরেই এবার একের পর পঞ্চায়েত সদস্যের তৃণমূলে যোগদানের ধারা অব্যাহত।কেষ্ট গড়ে দুই জন সদস্যের পর আবারও বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন করিধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের এক সদস্যা, বুথ সভাপতি সহ প্রায় দেড়শো জন বিজেপি কর্মী। বিজেপি শাসিত এই পঞ্চায়েতে এখন তৃণমূল সদস্যের সংখ্যা হয়ে দাঁড়ালো ১১। অন্যদিকে বিজেপির ৬। স্বাভাবিকভাবেই বিজেপি শাসিত এই পঞ্চায়েতে তৃণমূল কবে নতুন বোর্ড গঠন করে সেটাই এখন দেখার।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে বীরভূমের সিউড়ি ১ নম্বর ব্লকের করিধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের সতেরোটি আসনের মধ্যে নয়টি আসন পেয়েছিল বিজেপি এবং আটটি পেয়েছিল তৃণমূল। পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করেছিল বিজেপি। বিজেপির ‘গড়’ বলে পরিচিত এই করিধ্যা পঞ্চায়েতেই এখন বিজেপিতে ভাঙ্গন অব্যাহত। বেশ কয়েকদিন আগেই এই করিধ্যা পঞ্চায়েতের ৯ জন বিজেপি সদস্যের মধ্যে উপ-প্রধানসহ একজন সদস্য বিজেপি ছেড়ে যোগদান তৃণমূলে।
আজ রবিবার ফের একজন বিজেপির সদস্যা চুমকি দেবাংশী সহ বিজেপির বুথ সভাপতি ও ১৫০ জন কর্মী বিজেপি ছেড়ে যোগ দিলেন তৃণমূলে । বিধানসভার বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরীর হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা নিজের হাতে তুলে নিয়ে যোগদান করেন তাঁরা। পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের উন্নয়নের ধারায় অনুপ্রাণিত হয়ে স্বেচ্ছায় যোগ দিয়েছি।’
অন্যদিকে, বিজেপির দাবি ভয় দেখিয়ে তাদেরকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ানো হয়েছে। জেলা বিজেপি সাধারণ সম্পাদক শ্যামসুন্দর গড়াই বলেন, ‘তাঁরা শারীরিকভাবে তৃণমূলের যোগ দিলেও মন থেকে বিজেপিতেই রয়েছেন।’ আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তাদের কর্মকান্ডে সেই চিত্র ফুটে উঠবে।
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের পর পঞ্চায়েত দখলের ঘটনা নতুন নয়। এর আগে কোচবিহার একাধিক পঞ্চায়েত দখল করছে রাজ্যের শাসক দল। কোচবিহার কেন্দ্রে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের পরাজয়ের পরেই একের পর এক বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে শুরু করেন। বীরভূম জেলায় দুটি লোকসভা কেন্দ্রে যদিও খাপ খুলতে পারেনি বিজেপি। এই জেলার দুটি লোকসভা কেন্দ্রেই জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস।