সদ্যসমাপ্ত লোকসভা ভোটে বাংলায় অন্যতম নজরকাড়া কেন্দ্র ছিল বাঁকুড়া। ওই কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন বিদায়ী শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী, বিজেপির সুভাষ সরকার। তৃণমূল প্রার্থী করেছিল তালড্যাংরার বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তীকে। দুই ওজনদারের লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসলেন অরূপ। শেষমেশ ৩০ হাজারেরও বেশি ভোটে সুভাষকে হারিয়ে বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্র বিজেপির কাছ থেকে ছিনিয়ে নেন তৃণমূল প্রার্থী। পাঁচ বছর পর নিজেদের হারানো জমি ফিরে পেয়ে স্বাভাবিক ভাবেই উচ্ছ্বসিত ঘাসফুল শিবির। সেই আনন্দের বহিঃপ্রকাশ দেখা গেল নবনির্বাচিত সাংসদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ঘিরেও। সাংসদের দিল্লিতে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানকে স্মরণীয় করে রাখতে গত কয়েক দিন ধরেই প্রস্তুতি নিচ্ছিল বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের ছোট-বড় তৃণমূল নেতারা। চলছিল দিল্লির বিমানে টিকিট কাটার তোড়জোড়। অবশেষে রবিবার দুপুরে বাঁকুড়া শহর লাগোয়া একটি বেসরকারি পার্ক থেকে শতাধিক কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে দিল্লি রওনা দিলেন বাঁকুড়ার নয়া নির্বাচিত সাংসদ অরূপ। তাসা-বাজনা নিয়ে দিল্লিগামী তৃণমূল কর্মীদের বিদায় জানাতে ওই বেসরকারি পার্কে হাজির ছিলেন জেলা তৃণমূলের নেতারা।
তৃণমূল সূত্রে খবর, সড়কপথে প্রথমে অন্ডালের কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দর, সেখান থেকে বিমানে সাংসদ-সহ শ’খানেক তৃণমূল কর্মী দিল্লি যাচ্ছেন। দিল্লি যাওয়ার আগে বাঁকুড়ার নবনির্বাচিত সাংসদ বলেন, ‘‘দলের নেতা এবং কর্মীদের প্রবল পরিশ্রমের জন্যই আমি নির্বাচনে জয়ী হয়েছি। আমাদের এই জয়ে উচ্ছ্বসিত পুরো তৃণমূল শিবির। জেলার বিভিন্ন প্রান্তের নেতা-কর্মীরা চেয়েছিলেন, আমার শপথগ্রহণের দিন দিল্লিতে উপস্থিত থাকতে। তাঁরা নিজেরাই সেই সমস্ত ব্যবস্থা করেছেন। আজ (রবিবার) আমার সঙ্গে একশো জন কর্মী বিমানে রওনা দিচ্ছেন।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘সাংসদকে ঘিরে এই আবেগ শুধু এ রাজ্যে নয়, সারা দেশে নজিরবিহীন।’’