কলকাতার রাস্তায় গাছের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে নানা সময়ে নানা কথা ওঠে। কিন্তু কী ধরনের গাছ বসালে ভালো? ভাবুন তো এমন একটা কলকাতা যেখানে রাস্তার ধারে থাকবে আম, জাম, জামরুলের গাছ।
আসলে আমফান আর রেমাল দুটি ঝড়ের জেরে শহর কলকাতায় প্রচুর গাছ উপড়ে যায়। কিন্তু সেই জায়গায় তো বিকল্প গাছ বসানো দরকার। তবে যে গাছের শেকড় মাটির গভীরে প্রবেশ করে না সেই গাছ সহজেই উপড়ে যেতে পারে। সেকারণে এবার এমন গাছ বসানোর কথা ভাবছে পুরসভা যে গাছের শেকড় মাটির গভীর পর্যন্ত প্রবেশ করতে পারে।
এক্ষেত্রে এমন ফলের গাছ বসানোর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে যে গাছ ছায়া দেবে, যে গাছের শেকড় চলে যাবে মাটির অনেক ভেতরে। ঝড় হলেও বিশেষ উলটে যাবে না এই গাছ। মেয়র ফিরহাদ হাকিম এনিয়ে পুরসভার আধিকারিকদের নির্দেশ দেন যাতে প্রয়োজন মতো গাছ বসানো যায় কলকাতার মাটিতে।
এদিকে সূত্রের খবর, গত বছর রাজস্থান সফরে গিয়েছিলেন মেয়র। সেই সময় তিনি সেখানকার নিম গাছ দেখে সেই সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। এরপর তিনি জানতে পারেন এই গাছ গুলি আকারে বিশাল হয় না। কিন্তু এর শেকড় মাটির অনেক গভীরে চলে যায়। এরপরই তিনি খোঁজ নেন এই ধরনের গাছ কলকাতার মাটিতে বসানো যায় কি না। এরপর তিনি রাজস্থান থেকে কিছু নিম গাছের চারা কলকাতায় নিয়ে আসেন। সেই মতো কলকাতার রাস্তার ধারে কিছু নিম গাছের চারা বসানো হয়।
তবে বাম আমলে মূলত রাস্তার ধারে সুপারি, কদমফুল, রাধাচূড়া ও কৃষ্ণচূড়া গাছ বেশি বসানো হত। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেখা যায় যে সেই সমস্ত গাছ ঝড় এলেই উলটে পড়ে যায়। সেক্ষেত্রে এবার বিকল্প গাছ বসানোর ভাবনা চিন্তা করছে পুরসভা। সেই মতো বিকল্প গাছ বসানোর উদ্যোগ।
দেবদারু, জাম, কাঁঠাল, আম, এমনকী জামরুল গাছ বসানোর কথা চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। মূলত যে সমস্ত গাছ ঝড় এলে সহজে শিকড় উপড়ে যাবে না সেই ধরনের গাছ বসানোর কথা ভাবা হচ্ছে।
এদিকে আম, জাম জামরুল নিয়ে অনেকেরই ছোটবেলার নানা স্মৃতি আছে। অনেক পাড়াতেই কলকাতায় আগে এই ধরনের গাছ ছিল। কিন্তু সেসব আজ অতীত। বহুতলের দাপটে সেসব কাটা পড়েছে। সেই গাছ কি আবার ফিরবে কলকাতায়? সেই সঙ্গে ফিরবে সোনালী অতীত?