এই সময়, দুর্গাপুর: মেধাবী ও শান্ত ছেলেটিই কিনা জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত! বিশ্বাসই করতে পারছেন না মিরেপাড়ার বাসিন্দারা। রবিবারও দিনভর হাবিবুল্লা ও তার পরিবারকে নিয়ে চর্চা চলেছে পানাগড়ের মিরেপাড়ায়।শনিবার রাতে এসটিএফের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর এদিন সকালে ধৃত হাবিবুল্লাকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করে কাঁকসা থানার পুলিশ। তার আগে শারীরিক পরীক্ষার জন্য কাঁকসা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় হাবিবুল্লাকে। বিচারক হাবিবুল্লাকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। হাবিবুল্লার বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
কম্পিউটার সায়েন্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র হাবিবুল্লা কি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত? প্রশ্নের জবাবে মিরেপাড়ার বাসিন্দা সৈয়দ অয়ন আলি বলেন, ‘ছোট থেকে দেখেছি হাবিবুল্লাকে। কথা কম বলে। মানকর কলেজে পড়ে। পড়াশোনায় খুব ভালো। নিয়মিত নমাজ পড়তে যেত। শান্ত স্বভাবের এই ছেলে জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত, এটা বিশ্বাস করতে পারছি না।’ মিরেপাড়া সংলগ্ন এলাকায় থাকেন কল্পনা পাল।
তাঁর কথায়, ‘শনিবার চারটে গাড়ি নিয়ে পুলিশ হাবিবুল্লার বাড়ির সামনে এসে দাঁড়ায়। হাবিবুল্লাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। ওর মতো একটি ছেলেকে পুলিশ কেন তুলে নিয়ে গেল, বুঝতে পারছিলাম না। পরে জানতে পারলাম জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হাবিবুল্লা। শুনেছি ওর ভাইও যুক্ত।’
শনিবার হাবিবুল্লাকে থানায় নিয়ে আসার পরে কাঁকসা ব্লক তৃণমূলের নেতা পল্লব বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠিয়েছিলেন এসটিএফ আধিকারিকরা। সে প্রসঙ্গে পল্লব বলেন, ‘হাবিবুল্লা কেমন ছেলে তা ওঁরা জানতে চেয়েছিলেন। ভালো ছেলে বলেই জানি। কী ভাবে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হলো বলতে পারব না। তবে সঠিক সময়ে ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ।’
হাবিবুল্লার গ্রেপ্তারির খবরে বিস্মিত মানকর কলেজের অধ্যক্ষ সুকান্ত মজুমদারও। তিনি বলেন, ‘বেশ মেধাবী ছাত্র হাবিবুল্লা। খুব একটা কথা বলত না। কিন্তু, ও যে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল তা টেরই পাওয়া যায়নি।’