৩ মাস ধরে মিলছে না জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র, নাজেহাল বরাকরের মানুষ
এই সময় | ২৪ জুন ২০২৪
এই সময়, আসানসোল: জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র মিলছে না বরাকর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। গত এপ্রিল মাস থেকে একটা শংসাপত্র পেতে নাজেহাল অবস্থা আসানসোল পুরসভার কুলটির এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপর নির্ভরশীল প্রায় লাখ তিনেক মানুষ। জানা গিয়েছে, প্রায় শতাধিক মানুষ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ইন-চার্জ চিকিৎসক অনির্বাণ রায়ের দরজায় হত্যে দিয়েও পাচ্ছেন না শংসাপত্র। ফলে ক্ষোভ বাড়ছে বাসিন্দাদের।তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক ও জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, অবিলম্বে এই সমস্যার দ্রুত সমাধান করা উচিত রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের। একই দাবি তুলেছেন বরাকরের বাসিন্দা পেশায় চিকিৎসক ও বিধায়ক অজয় পোদ্দার। কিন্তু কেন প্রায় তিন মাস ধরে বরাকর, কুলটির তিনটি বরো এলাকার কয়েকশো মানুষ এই সমস্যার মুখোমুখি হবেন?
বরাকর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ইন-চার্জ অনির্বাণ রায় বলেন, ‘পুরসভার পক্ষ থেকে গত ২১ মার্চ আমাদের চিঠি পাঠিয়ে বলা হয়, এত দিন জন্ম-মৃত্যুর যে হার্ডকপি আমরা দিতাম, এবার থেকে সেটা অনলাইনে পাঠাতে হবে। আমরা তখনই জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরে জানিয়েছিলাম বিষয়টি, কেননা অনলাইনে এই কাজ পারবেন এমন কোনও কর্মী আমাদের এখানে নেই।’
এ নিয়ে পর পর একাধিক চিঠি দেওয়া হয় বলে জানান তিনি। বলেন, ‘গত ১২ জুন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কলকাতায় সংশ্লিষ্ট রাজ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে চিঠি দিয়ে জানান, বরাকরের জন্ম, মৃত্যুর যাবতীয় তথ্য পোর্টালে তোলার ব্যবস্থা করতে আইডি জানানো হোক। বহু চেষ্টা সত্ত্বেও সেই আইডি বা পাসওয়ার্ড পাওয়া যায়নি। ফলে আমরা জন্ম, মৃত্যুর শংসাপত্র কাউকে দিতে পারছি না। সদ্যোজাতদের বাবা-মা চাইলেও আমাদের বলতে হচ্ছে অনলাইনে এটা পাঠাতে পারছি না।’
এ প্রসঙ্গে আসানসোল পুরসভার সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে অনলাইনে যদি কোনও তথ্য না আসে তাহলে তা পোর্টালে রেজিস্টার্ড হবে না। বরাকর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নাম ওই পোর্টালে নেই। ফলে আমাদের কিছু করার নেই। যা করার রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের জন্ম, মৃত্যুর শংসাপত্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তর করবে।’
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মহম্মদ ইউনুস বলছেন, ‘আমি সদ্য কলকাতায় সংশ্লিষ্ট ডিরেক্টরকে এ বিষয়ে চিঠি লিখেছি। বরাকরের নাম যাতে পোর্টালে তুলে দেওয়া তার অনুরোধও করেছি।’ অন্য দিকে, জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের দায়িত্বে থাকা অফিসার ইন-চার্জ ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট অনিরুদ্ধ রায় বলেন, ‘আমি বিষয়টি জেনে সঙ্গে সঙ্গে সিএমওএইচ-এর সঙ্গে কথা বলেছি। এবার কাজ না হলে আমি নিজে কলকাতায় কথা বলব।’