আরপিএফ সূত্রের খবর, শনিবার বিশেষ সূত্রে খবর মেলে, ভুবনেশ্বর থেকে দিল্লিগামী তেজস রাজধানী এক্সপ্রেসে গাঁজা পাচার করা হচ্ছে। সেই মতো ট্রেনটি আনাড়া স্টেশনে থামলে আনাড়া পোস্টের ওসি অজয়কুমার গরাঁইয়ের নেতৃত্বে আরপিএফ ও রেল পুলিশের আনাড়া ফাঁড়ির কর্মীরা ট্রেনে অভিযান চালান। প্যান্ট্রি কার থেকে পাওয়া যায় কালো রঙের একটি ট্রলি। তাতেই ছ’টি প্যাকেটে ছিল ১৩ কেজির বেশি গাঁজা।
রাজধানী এক্সপ্রেসের মতো প্রথম সারির ট্রেন থেকে গাঁজা উদ্ধারের ঘটনায় শোরগোল পড়েছে রেলের নানা মহলে। উঠছে নানা প্রশ্নও। অন্য ট্রেনের তুলনায় রাজধানীতে নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা বরাবরই বেশি থাকে। তা ছাড়া, প্যান্ট্রি কারে সেখানকার কর্মীরা ছাড়া সাধারণ যাত্রীদের প্রবেশাধিকার থাকে না। তাই সাধারণ সংরক্ষিত কামরার মতো কেউ যাত্রী সেজে গাঁজা ভর্তি ব্যাগ রেখে চলে যাবে, সেই সম্ভাবনা কম বলে সংশ্লিষ্ট মহল সূত্রে খবর।
আরপিএফ সূত্রে জানা যায়, ট্রেনটি আনাড়া স্টেশনে কয়েক মিনিটের জন্য থামে। ফলে প্যান্ট্রি কারের কর্মীদের যথাযথ ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেননি তদন্তকারীরা। আরপিএফের এক আধিকারিক বলেন, “সাধারণত প্যাসেঞ্জার ট্রেনেই গাঁজা পাচারের মতো ঘটনা ঘটে থাকে। রাজধানীর মতো গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনে গাঁজা পাচারের ঝুঁকি নেয় না পাচারকারীরা। তার পরেও প্যান্ট্রি কারে সেখানকার কর্মীদের অলক্ষ্যে কী ভাবে কেউ গাঁজা ভর্তি ব্যাগ রেখে গেল, সেই প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক।” পুরুলিয়ার রেল পুলিশ তবে জানাচ্ছে, ঘটনার বিশদ তদন্ত শুরু হয়েছে। প্যান্ট্রি কারের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এ ছাড়া, ভুবনেশ্বর থেকে ট্রেনটি ছাড়ার পরে যে সব স্টেশনে দাঁড়িয়েছিল, সেই সব স্টেশনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ় পরীক্ষা করেও দেখা হবে।