প্রশাসন সূত্রের খবর, গঙ্গাসাগর মেলার সময়ে কচুবেড়িয়ায় অস্থায়ী ৪ নম্বর জেটি ঘাট তৈরি করা হয়। ওই জেটি ঘাটের উপর দিয়ে ব্রিজের ঢাল নেমে সোজা যাবে আশ্রম মোড় পর্যন্ত।অন্য দিকে, লট ৮-এর ৪ নম্বর স্থায়ী ভেসেল ঘাট দিয়ে ব্রিজের ঢাল গিয়ে পৌঁছবে গোলপার্ক পর্যন্ত। লট ৮ থেকে কচুড়িয়া পর্যন্ত ৩.১ কিলোমিটার সেতু তৈরির কথা।
লোকসভা ভোটের প্রচারে সাগরে এসে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, সেতু তৈরি করতে একটু সময় লাগবে। সেতু তৈরির জন্য সার্ভে করে ডিপিআর তৈরি হয়ে গিয়েছে। আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে কাজ শেষ হবে। এই সেতু নির্মাণের ফলে গঙ্গাসাগরে তীর্থে যাওয়া আরও সহজ হবে। পাশাপাশি, স্থানীয় মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং এলাকার পর্যটনে জোয়ার আনতেও এই সেতু বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।
সেতু তৈরির প্রাথমিক কাজ শুরু হওয়ায় খুশি সাগরদ্বীপবাসী। সাগরদ্বীপে প্রায় দু’লক্ষ মানুষের বাস। গঙ্গাসাগর মেলা ছাড়াও সারা বছর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পুণ্যার্থীরা আসেন। কিন্তু যাতায়াতের বড় সমস্যা মুড়িগঙ্গা নদী। সেতু হলে সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন স্থানীয় বাসিন্দা, ভিন্ রাজ্যের পুণ্যার্থীরাও। প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ২০২৫ সালের গঙ্গাসাগর মেলা শুরুর আগেই গঙ্গাসাগর সেতুর শিলান্যাস করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
স্থানীয় বাসিন্দা তথা সাহিত্যিক ভাগ্যধর বারিক বলেন, ‘‘মুড়িগঙ্গা নদীতে সেতু হলে দ্বীপ এলাকার মানুষ এবং বাইরে থেকে আসা তীর্থযাত্রীদের সুবিধা হবে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে। সেতুর প্রাথমিক কাজ শুরু হওয়ায় আমরা অনেকেই খুশি।’’
সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরার কথায়, ‘‘তৃণমূল সরকার কথা দিলে কথা রাখে। অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের মতো মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয় না। কেন্দ্রের কাছে বার বার বলেও কোনও সুরাহা হয়নি। রাজ্য নিজের উদ্যোগে কাজ করছে।’’
স্থানীয় বিজেপি নেতা অরুণাভ দাস বলেন, ‘‘সেতুর প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে, সেটা খুবই ভাল খবর সাগরদ্বীপবাসীর কাছে। আমরাও চাই, সেতু হোক। দীর্ঘ কয়েক বছরের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবেন সাগরবাসী। কিন্তু বাস্তবে কত তাড়াতাড়ি তা রূপায়িত হবে, তা এখনও চিন্তার বিষয়।’’