আট মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে ২০১৮ সালে পথতলা শুরু এই গোষ্ঠীর। ওই মুক্তো চাষের দায়িত্ব রয়েছেন কাজল মণ্ডল ও বিশ্বনাথ বিশ্বাস। তাঁরা জানান, সমুদ্রের বদলে পুকুরেই চাষ করা ভাল এই বিশেষ ঝিনুকের। টাকি পাড়ার একটি ভেড়ির পাশে পুকুরে প্রথম বার সময় লেগেছিল দেড় বছর। ২০০টি ঝিনুকের মধ্যে ১৭০টি মুক্তো মিলেছিল। কাজল বলেন, ‘‘প্রতি মুক্তো ২০০ টাকায় বিক্রি হয়। এক বছর হল ২০০টি ঝিনুকে মুক্তো চাষ করেছি। আর মাস আটেক পর মুক্তো তৈরি হয়ে যাবে।’’
ওই গোষ্ঠীর সম্পাদক পাঁচুগোপাল মণ্ডল বলেন, ‘‘প্রশাসন যদি ওই মুক্তো বিক্রির বাজার ধরার জন্য সাহায্য করে, তা হলে উপকার হয়।’’
বলাগড় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিখা মণ্ডল প্রামাণিকের কথায়, ‘‘রাজ্য সরকার মহিলাদের স্বনির্ভর করতে নানা প্রকল্পের সুবিধা দিচ্ছে। আমরা ওই গোষ্ঠীর পাশে থাকার চেষ্টা করব।’’ আর হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন ধারাও সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।