লোকসভা ভোটে শিলিগুড়ি বিধানসভা এলাকায় দল হেরেছে ৬৬ হাজারের মতো ভোটে। আর জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ১৪টি ওয়ার্ডে দল এ বার ৭০ হাজারের বেশি ভোটে বিজেপির থেকে পিছিয়েছে। অথচ, দু’বছর আগেই শহরের ৩৭টি ওয়ার্ডে জিতে তৃণমূল ক্ষমতায় এসেছে। সেখানে লোকসভায় মানুষ কেন দলকে ভোট দিচ্ছে না তা নিয়ে দলের নেতৃত্ব চিন্তিত। পাশাপাশি, নানা সরকারি প্রকল্প থাকতেও দল কেন তার সুফল হিসেবে গ্রামের সমর্থন পাচ্ছে না তা নিয়েও উদ্বিগ্ন তৃণমূল নেতৃত্ব। বৈঠকে এ সব নিয়েই আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব শুধু বলেছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক ডেকেছেন। উনি যা নির্দেশ দেবেন তা করতে হবে।’’ মেয়র ইতিমধ্যে কলকাতায় পৌঁছেও গিয়েছেন।
দলীয় সূত্রের খবর, আগামী বিধানসভা ভোটের আগে পুরসভাগুলির ‘সক্রিয়তা’ বাড়াতে চান মুখ্যমন্ত্রী। সে ক্ষেত্রে পুরসভার দায়িত্ব বণ্টনে কিছু অদলবদলের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে, জনপ্রতিনিধিরা বিভিন্ন পদে বসেই ভোট পরিচালনায় বার বার ব্যর্থ হলে দলের তরফে ব্যবস্থা নেওয়াটা জরুরি বলে মনে করছেন নেতাদের একাংশ। ততোধিক জরুরি স্থানীয় দলের নেতৃত্বকে নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা।
দলের রাজ্য নেতাদের একাংশ মনে করছেন, কলকাতাতেও বিজেপি প্রচুর ওয়ার্ডে জিতেছে। শিলিগুড়ি, আসানসোলে দল হেরেছে গেরুয়া দলের কাছে। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার জেলার পুর এলাকায় অবস্থাও একই। ফলে কিছু রদবদল জরুরি। কারণ, বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে শহরের মানুষ বেশি সংবেদনশীল। দলের পুরপ্রতিনিধি বা নেতানেত্রীদের একাংশের কাজকর্ম তাঁরা চোখের সামনে দেখেন। নেতিবাচক হোক বা ইতিবাচক, ভোটে সেই ভাবনার ছাপ পড়েই। সুতরাং প্রয়োজনে সেই মুখগুলোর বদলও দরকার বলে মনে করছেন শীর্ষ নেতৃত্ব, যাতে মানুষের আস্থা ফেরে।