জলপাইগুড়িতে লোকসভা ভোটে এ বারও বিজেপি জিতেছে। তবে বিজেপির জয়ের ব্যবধান অনেকটাই কমেছে। এ জন্য গ্রামকে ধন্যবাদ দিচ্ছেন তৃণমূল নেতারা। বেশিরভাগ গ্রামীণ এলাকায় গত লোকসভা এবং বিধানসভার থেকেও ভাল ভোট পেয়েছে তৃণমূল। কিন্তু হোঁচট শহরে এসে। জলপাইগুড়ি, মালবাজার, ধূপগুড়ি এবং ময়নাগুড়ি পুরসভা এলাকায় ব্যাপক পিছিয়ে পড়েছে তৃণমূল। জলপাইগুড়ি, মালবাজার এবং ময়নাগুড়ি তিন পুরসভাতেই বছরদুয়েক আগের পুরভোটে বিপুল ভোটে জিতেছিল তৃণমূল। দু’বছর পরে লোকসভা ভোটের নিরিখে সেই পুরসভা এলাকায় একটি দু’টি বাদে সব ওয়ার্ডেই হেরেছে তৃণমূল। দলের নেতৃত্বের দাবি, পুর এলাকায় যাঁরা দলের মুখ, তাঁদেরই এ দায়িত্ব নিতে হবে। ধূপগুড়ি পুরসভা প্রশাসক চালাচ্ছে। তৃণমূল সূত্রের দাবি. চার পুরসভাতেই দায়িত্বে বড়সড় রদবদল হতে পারে।
তৃণমূলের এক নেতার কথায়, “শুধু ভোটে হারা-জেতার জন্য নয়। দল মনে করছে, মানুষকে পরিষেবা দিতে খামতি হচ্ছে। সেটাই পূরণ করা হবে।’’ পুর এলাকার কাজকর্ম নিয়ে প্রশাসনিক স্তরেও রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে তৃণমূল। জেলা তৃণমূল নেতারা অবশ্য পুরসভার দায়িত্বে রদবদল নিয়ে মুখ খুলতে রাজি নয়। তবে জেলা কমিটির এক নেতার কথায়, “পুর এলাকার কোন পুর প্রতিনিধি কতটা সক্রিয় তা নিয়ে আমাদের থেকেও তথ্য চাওয়া হয়েছে।”