১৯৯৪ সালে ওই সংস্থাতেই নির্মিত হয়েছিল ‘সাগরধ্বনি’। পাশাপাশি, নৌবাহিনীর জন্য একই কাজে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে ‘নির্দেশক’ নামে সম্পূর্ণ নতুন একটি সমীক্ষক জাহাজও তৈরি করছে গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্স। সংস্থার আধিকারিকদের দাবি, ৩০ বছরের পুরনো জাহাজের প্রযুক্তি বদলের পাশাপাশি নতুন সমীক্ষক জাহাজে আধুনিক প্রযুক্তি স্থাপনের এমন কাজ একসঙ্গে চলা বিরল।
শব্দতরঙ্গ ব্যবহার করে সমুদ্রতলের বিভিন্ন অবস্থার পর্যবেক্ষণ এবং পরিমাপ আরও নিখুঁত করার উদ্দেশ্যে কম্পনের সমস্যা কমানো হচ্ছে প্রায় ৮৫.১ মিটার লম্বা জাহাজ ‘আইএনএস সাগরধ্বনি’-তে। বাতাসের অভিমুখ এবং গতি পরিমাপক রাডার, আবহাওয়া পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা ছাড়াও ওই জাহাজের রেডিয়ো যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করা হচ্ছে। এ ছাড়া, জলের নীচে ব্যবহারের স্বয়ংক্রিয় ডুবোযানের মানোন্নয়নও হচ্ছে।
এরই সঙ্গে ১১০ মিটার লম্বা নির্মীয়মাণ জাহাজ ‘আইএনএস নির্দেশক’-এ বসানো হচ্ছে অত্যাধুনিক পরিমাপক যন্ত্র। শব্দতরঙ্গ ব্যবহার করে বিভিন্ন ভাবে তথ্য সংগ্রহের একাধিক যন্ত্র থাকছে ওই জাহাজে। রয়েছে উপগ্রহ-নির্ভর অবস্থান জ্ঞাপক যন্ত্র, স্ব-নিয়ন্ত্রিত ডুবোযান ছাড়াও একাধিক প্রযুক্তি।
গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স সূত্রের খবর, নতুন সমীক্ষক জাহাজটিকে বন্দর ও পোতাশ্রয় সংক্রান্ত বিভিন্ন সমীক্ষার কাজে ব্যবহার করা হবে। এর অন্যতম প্রধান কাজ হবে সমুদ্রপথে জাহাজ চলাচলের নতুন পথ (নেভিগেশন চ্যানেল) খুঁজে বার করাও। সেই সঙ্গে উপকূল এলাকাতেও বিভিন্ন সমীক্ষার কাজ করবে ‘আইএনএস নির্দেশক’। নৌবাহিনীর প্রথম সারির দু’টি সমীক্ষক জাহাজে একত্রে প্রযুক্তির আধুনিকীকরণের কাজকে সংস্থার নিরিখেও বিরল কৃতিত্ব বলে মনে করছেন গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স কর্তৃপক্ষ।