• শান্ত গলায় গোয়েন্দাদের উত্তর হবিবুল্লার,ফরেন্সিক পরীক্ষায় পাঠানো হচ্ছে তার ল্যাপটপ...
    আজকাল | ২৪ জুন ২০২৪
  • বিভাস ভট্টাচার্য

    কী আছে মহম্মদ হবিবুল্লার কম্পিউটারে? জানতে ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হবে তার ল্যাপটপ। জঙ্গি সংগঠন 'শাহাদাত'-এর মূল পান্ডা হবিবুল্লাকে গত শনিবার পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা থেকে গ্রেপ্তার করেছে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স বা এসটিএফ। কলেজ পড়ুয়া হবিবুল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিষিদ্ধ এই সংগঠনটির মূল পান্ডা হিসেবে সে জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য যুবকদের নিয়োজিত করছিল। সংগঠনের প্রয়োজনে তুলছিল টাকা। যা ব্যবহার করা হত নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে। তার বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এসটিএফ-এর আধিকারিক বলেন, 'প্রাথমিক অবস্থায় ল্যাপটপ ঘেঁটে যেটুকু তথ্য পাওয়া গিয়েছে তার থেকে ল্যাপটপে অনেক বেশি তথ্য আছে বলেই আমাদের অনুমান। এই মামলার আরও গভীরে যেতে আমাদের কাছে তার ল্যাপটপটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্যই সিদ্ধান্ত হয়েছে ল্যাপটপটি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।'

    ইতিমধ্যেই আদালতের নির্দেশে হবিবুল্লাকে নিজেদের হেফাজতে পেয়েছে এসটিএফ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন এসটিএফের গোয়েন্দারা। এবিষয়ে ওই আধিকারিক বলেন, 'এখনও পর্যন্ত হবিবুল্লাকে দেখে মনে হয়েছে সে অত্যন্ত ঠান্ডা মাথার 'খিলাড়ি'। কথায় বা আচার আচরণে অত্যন্ত ভদ্র। পয়েন্ট অনুযায়ী উত্তর। খাওয়া দাওয়া নিয়ে কোনও বায়না নেই। চোখ-মুখ দেখে বোঝাও যাবে না সে এই সংগঠনের মূল পান্ডা।' তবে হবিবুল্লাকে নিয়ে রাজ্যের আরও কিছু জায়গায় অভিযান চালাতে পারে এসটিএফ। ইতিমধ্যেই গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন রাজ্যের কয়েকটি জেলা যেমন হাওড়া ও নদীয়ায় হবিবুল্লা বেশ‌ কয়েকজনকে তাদের সংগঠনে নিয়োগ করেছিল। বিশ্বজুড়ে জঙ্গি কার্যকলাপ চালিয়ে যাওয়া 'আল-কায়দা'র সিস্টার বা শাখা সংগঠন শাহাদাতের পান্ডা হবিবুল্লা বিদেশে কোন কোন জঙ্গি নেতার সংস্পর্শে এসেছিল সেটা জানাও এসটিএফের গোয়েন্দাদের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ।
  • Link to this news (আজকাল)