• '৫০০-১০০০ দিয়ে কয়েকটা ছেলে পুষে ভাবছে হনু হয়ে গিয়েছি...'
    ২৪ ঘন্টা | ২৪ জুন ২০২৪
  • প্রসেনজিৎ মালাকার: 'বিগত দিনে যারা অঞ্চলটা পরিচালনা করেছে তারা দুর্নীতিগ্রস্ত ছিল। যারা বিগত দিনে এই অঞ্চলটি পরিচালনা করেছিল, তাদের বিরুদ্ধে অঞ্চলের মানুষের একটা ক্ষোভ ছিল।' নাম না করে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন বীরভূম জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ও তৃণমূল নেতা কেরিম খানকে হুঁশিয়ারি কাজল শেখের। রবিবার নানুরের থুপসারা অঞ্চলের বাসাপাড়া তৃণমূল কংগ্রেস দলীয় কার্যালয় কর্মীর সভায় প্রকাশ্যে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ।

    বক্তব্য রাখতে গিয়ে কাজল শেখ বলেন, 'আপনাদের নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব মিটিয়ে নিন। যদি কারওর ব্যবসা করার ইচ্ছা থাকে ব্যবসা করুন, পার্টি করার দরকার নেই। পার্টির সামনের সারিতে আসার দরকার নেই। ৫০০ টাকা, ১০০০ টাকা দিয়ে কিছু ছেলেকে পুষে সে হয়তো ভাবছে আমি হনু হয়ে গিয়েছি। কিন্তু আমার পেটে অনেক ঘাটের জল আছে।'

    তিনি আরও বলেন, 'উপরওয়ালা ছাড়া কাউকে ভয় করিনি। অনেককে হজম করে বসে আছি। সেই সব বন্ধুদের বলবো ঠান্ডা মাথায় কাজ করো। অন্যায় করলে আমি কিন্তু বরদাস্ত করব না। এই অঞ্চলের মানুষের জানা আছে, এই অঞ্চলের মানুষ সংঘবন্ধ হয়েছে। প্রধান কারণ হল, বিগত দিনে যারা অঞ্চলটা পরিচালনা করেছে তারা দুর্নীতিগ্রস্ত ছিল। যারা বিগত দিনে এই অঞ্চলটি পরিচালনা করেছিল, তাদের বিরুদ্ধে অঞ্চলের মানুষের একটা ক্ষোভ ছিল।'

    অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন বীরভূম জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ও তৃণমূল নেতা কেরিম খানকে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ার দেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাপতি। প্রসঙ্গত, কেরিম খান, অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ বলে বীরভূমে পরিচিত ছিল। বোলপুর এলাকায় কেরিম খানকে এক ডাকে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বলেই চেনে সকলে। অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার আগে গরু পাচার মামলায় কেরিম খানের বাড়িতে ও তার ঘনিষ্ঠ নানুরের বাড়িতে সিবিআই রেড চালায়। তারপর, একাধিকবার কলকাতায় সিবিআই ও ইডির অফিসে হাজিরা দিয়েছিলেন কেরিম খান।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)