ঘটনাটি ঠিক কী? সপ্তম দফায় যেদিন লোকসভা ভোট হয়েছিল কলকাতায়, সেদিনই উপনির্বাচন হয় বরানগরে। এই কেন্দ্র থেকে এবার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা। এরপর রাজভবন থেকে চিঠি পাঠিয়ে নবনির্বাচিত বিধায়ককে জানানো হয়, ২৬ তারিখ সাড়ে বারোটায় রাজভবনেই শপথ বাক্য পাঠ করানো হবে।
রাজ্যপালকে এবার পাল্টা চিঠি দিলেন সায়ন্তিকা। নির্দিষ্ট দিনে তিনি রাজভবনে যাবেন কিনা, তা অবশ্য স্পষ্ট করে জানাননি চিঠিতে। তবে জানতে চেয়েছেন, 'রাজভবনে কে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন'? এদিন বিধানসভা এসে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন বরানগরের জয়ী তৃণমূল প্রার্থী। সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'এটা সাংবিধানিক রীতি। সেই রীতিটাকে ভাঙছেন! কী বলব! এটা আমাদের দুর্ভাগ্যজনক, যে এটা আমাদের দেখতে হচ্ছে। রাজ্যপালকে আমি বলব, শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। আসুন বিধানসভাতেও। যদি চান, তাহলে শপথ বাক্য় পাঠ করাবেন। আমাদের কোনও আপত্তি নেই। রাষ্ট্রপতি আজ পর্যন্ত যাঁরা নির্বাচিত, তাঁদের শপথ দিয়েছেন কিনা, আমার জানা নেই। পোটেম স্পিকার শপথ দিচ্ছেন, রাষ্ট্রপতি শপথ দিতে পারতেন। কেন করতে চাইছেন? আমার মাথা ঢুকছে না'।
স্পিকারের কথায়, 'শপথ গ্রহণে বিধানসভার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। যেহেতু তিনি নির্বাচিত হয়েছে, তিনি বিধানসভার সদস্য হবেন। তিনি রাজভবনের সদস্য হবেন না, রাজ্যপাল কেন এটা বুঝতে চাইছেন না, আমার মাথায় ঢুকছে না'। বলেন, 'সায়ন্তিকা আমাকে জানাল, চিঠি দিয়েছে, রাজভবনে যাবেন কি যাবেন না, সেটা ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে বিধানসভাকে এখনও জানানো হয়নি। রাজ্যপালকে অনুরোধ করব, যদি শপথ দিতে হয়, দয়া করে বিধানসভায় আসুন। শপথ বাক্য় পাঠ করান। আমরা খুশি হব'।