টাকা দিলেই ভুয়ো ইঞ্জিনিয়ারিং সার্টিফিকেট-চাকরি? প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার ১
এই সময় | ২৪ জুন ২০২৪
চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা! দফায় দফায় মোটা অঙ্কের টাকা নেওয়ার অভিযোগ। এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। খোঁজ চলছে অপর অভিযুক্তের।চাকরি দেওয়ার নাম করে মোটা অঙ্কের টাকা নেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার রাতে বাঁকুড়ার সিমলাপাল থানার পার্শ্বলা গ্রামের সৌমেন সিংহ মহাপাত্র নামক এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতকে এদিন পুলিশ খাতড়া মহকুমা আদালতে পেশ করে। আদালত তাকে আগামী তিন দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। ঘটনায় অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি করেছে প্রতারিত যুবক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার সিমলাপাল থানার ধবনী গ্রামের বাসিন্দা পীযূষ সিনহা মহাপাত্রের সঙ্গে দীর্ঘদিনের পরিচয় পার্শ্ববর্তী কল্লাচ্যা গ্রামের বাসিন্দা পার্থ সিংহ মহাপাত্রের। পার্থর সূত্র ধরেই পীযূষের সঙ্গে আলাপ হয় পার্শ্বলা গ্রামের সৌমেন সিংহ মহাপাত্রের। অভিযোগ, মাস কয়েক আগে ওই দুই যুবক পীযূষকে জামশেদপুরে একটি নামী সংস্থায় স্থায়ী চাকরির প্রস্তাব দেয়।
পীযূষকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় ওই চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা ও অভিজ্ঞতার শংসাপত্র তৈরি করে দেওয়া হবে। বিনিময়ে প্রথমে ৬০ হাজার টাকা দাবি করে ওই দুই যুবক। পীযূষের দাবি, প্রথমে ৬০ হাজার টাকা চাওয়া হলেও পরে ধাপে ধাপে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা নেয় পার্থ ও সৌমেন। কখনও নগদে আবার বিভিন্ন অ্যাপে ওই টাকা দেয় পীযূষ। এরপর পীযূষকে জামশেদপুরে একটি সংস্থায় কাজ দেওয়া হয়। কিন্তু, কাজে যোগ দেওয়ার দশ দিনের মাথায় সংস্থার তরফে তাঁকে কাজ থেকে বার করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
এরপরের ঘটনাক্রমগুলিতে পীযূষ বুঝতে পারেন, তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। পার্থ ও তাঁর সহযোগীর কাছে দেওয়া টাকা ফেরত চাইলে পীযূষকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপরই বাঁকুড়ার সিমলাপাল থানার দ্বারস্থ হন তিনি। অভিযোগ পেয়েই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এরপরই পীযূষের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় সৌমেন সিংহ মহাপাত্রকে। এদিন ধৃতকে খাতড়া মহকুমা আদালতে পেশ করলে আদালত তাকে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়। পুলিশ জানিয়েছে অপর অভিযুক্তর খোঁজে তল্লাশি চলছে। তাদের দ্বারা আর কেউ প্রতারিত হয়েছে কিনা সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।