• ক্রেতা সেজে মোবাইল নিয়ে চম্পট, অভিনব কায়দায় ছিনতাই হিন্দমোটরে
    এই সময় | ২৪ জুন ২০২৪
  • দোকানে খরিদ্দার হিসেবে ঢুকছে তারা। জিনিস কেনার অছিলায় কিছুক্ষণের জন্য ভাব জন্মাচ্ছে দোকানদারের সঙ্গে। কথোপকথনের মাঝেই সামনে থাকা মোবাইল নিয়ে দে ছুট ছিনতাইবাজের। অনেক সময় ফোন ব্যবহার করার নাম করেও সেটিকে হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে ছিনতাইবাজরা। অভিনব কায়দায় ছিনতাইয়ের ঘটনা হুগলিতে। ছিনতাইয়ের কাজের সঙ্গে যুক্ত পরিপাটি যুবকরা। কোনও সুর্নিদিষ্টি গ্যাং এর পেছনে কাজ করছে? উঠছে প্রশ্ন। হুগলি হিন্দমোটর এলাকায় এরকমই এক ঘটনা ঘটল। পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই ব্যবসায়ী।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওষুধ কেনার নাম করে এসে ব্যবসায়ীর ফোন হাতিয়ে চম্পট দেয় এক যুবক। সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ল সেই ছবিও। হিন্দমোটর দেবাইপুকুর রোডে এই ঘটনা। স্থানীয় ব্যাবসায়ী সৈকত মুখোপাধ্যায়ের দোকানে এই ধরণের ঘটনা ঘটে। তিনি জানান, শনিবার রাত পৌনে এগারোটা নাগাদ একটি ছেলে তাঁর দোকানে আসে। তখন দোকান ফাঁকাই ছিল।

    দোকানদার বলেন, ‘ছেলেটি কয়েকটি ওষুধ চায়। আমি দিতে শুরু করি। ছেলেটি বলে একটা ওষুধের নাম মনে পরছে না মাকে ফোন করব। তার ফোনের ব্যাটারী শেষ হয়ে গিয়েছে।’ এরপর সেই ব্যবসায়ী তাঁর ফোনটি নম্বর ডায়াল করে ছেলেটির হাতে দেন। ততক্ষণে ওষুধ খুঁজতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন সেই ব্যবসায়ী। কয়েক মিনিট দাঁড়িয়ে কথা বলার পর ব্যবসায়ী তার দিকে নজর না দিতে মোবাইল নিয়ে চম্পট দেয় ছেলেটি।

    ব্যবসায়ী বলেন, ‘অনেক বার ফোন করলেও ফোন রিসিভ করেনি। উল্টো দিকের দোকানদাররা তাকে জানান বাইক নিয়ে আরো দুজন দাঁড়িয়ে ছিল। ব্যবসায়ীর সন্দেহ একটা গ্যাং হিসাবে এরা কাজ করছে। মোবাইল, জিনিস পত্র যা পাচ্ছে নিয়ে যাচ্ছে। বন্ধ হিন্দমোটর কারখানা এলাকায় নেশার ঠেক বসছে। সেখান থেকেই এসব চলছে বলেও অনুমান করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। রাতের দিকে দোকানে খরিদ্দার কম থাকার সময়েই ছিনতাইয়ের টার্গেট করা হচ্ছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

    এই ঘটনার পর উত্তরপাড়া থানায় অভিযোগ জানান সেই ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, ‘রাত পর্যন্ত আমাদের দোকান খোলা রাখতে হয়। এই ধরনের ঘটনা যদি ঘটে আমরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি।পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা নিক।’ ব্যবসায়ীদের কথায়, এখন সব কিছুই মোবাইল নির্ভর।ওষুধের স্টক থেকে ব্যবসায়ীক লেনদেন অ্যাপ সব কিছু মোবাইলে। খুব সমস্যা হচ্ছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    উত্তরপাড়া থানার এক পুলিশ আধিকারিক জানান, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। বাইরে থেকে কোনও লোক এসে এরকম করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। দুষ্কৃতীদের ধরার চেষ্টা হচ্ছে।
  • Link to this news (এই সময়)