• খাস কলকাতায় অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি, দ্রুত উদ্ধার পুলিশের, ধৃত ৮
    এই সময় | ২৪ জুন ২০২৪
  • খাস কলকাতায় ফের অপহরণের অভিযোগ। মুক্তিপণ চেয়ে এল ফোন। তিলজলা থানা এলাকার ঘটনা। যদিও নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তিলজলা থানার পুলিশ ও লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখার যৌথ উদ্যোগে উদ্ধার করা হয় অপহৃতকে। গ্রেফতার ৮।পুলিশ সূত্রের খবর, গত ২২ জুন তিলজলা থানায় একটি অপহরণের মামলা দায়ের করা হয়। অপহৃত ব্যক্তির বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে রুজু করা হয় মামলা। অভিযোগ, ওই ব্যক্তি ২১ জুন সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হন। কিন্তু ২২ জুন বিকেল পর্যন্ত তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এরপর একটি অজানা নম্বর থেকে ফোন আসে এবং ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এমনকী টাকা না পেলে ওই ব্যক্তির প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়। এরপরেই তিলজলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন অপহৃত ব্যক্তির বাবা। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। গোপন সূত্রের খবর পেয়ে, মুকুন্দপুর এলাকার একটি হোটেল থেকে অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। একইসঙ্গে তিলজলা থানা ও লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখার যৌথ উদ্যোগে মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতরা হল বিবেক আগরওয়াল, আশুতোষ রায়, সুরজ কুমার সিং, রোহিত রায়, মহম্মদ আলকামা, আমন কুমার গুপ্তা, কুন্দন শ্রীবাস্তব ও ডেভিড।

    পুলিশ সূত্রে খবর, অপহৃত ব্যক্তি একটা সময় নরেন্দ্রপুরে একটি কল সেন্টার চালাতেন। কিন্তু সেখানে পুলিশি অভিযান চলে। যার ফলে কল সেন্টারটি বন্ধ হয়ে যায়। সেই সময় ওই ব্যক্তি ডেভিডের থেকে ১৬ লাখ টাকা ঋণ নেন। কিন্তু তিনি তা পরিশোধ করছিলেন না। এরপরেই তাঁকে অপহরণ করার ছক কষে ডেভিড। যদিও পুলিশের তৎপরতায় দ্রুততার সঙ্গে উদ্ধার করা হয় অপহৃত ওই ব্যক্তিকে। একইসঙ্গে ৮ জনকেও জালে তোলে পুলিশ।

    পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, প্রথমে ডেভিড ও বিবেককে গ্রেফতার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাবাদ করে বাকি ৬ জনকে গ্রেফতার পরে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত আরও একজন এখনও পলাতক রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তার খোঁজেও তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে কলকাতার নিউ মার্কেটের কাছে অপহরণ করা হয় ওই ব্যক্তিকে। এরপর কসবা ও নরেন্দ্রপুরের বেশ কয়েকটি জায়গায় যাওয়া হয় তাঁকে। পাশাপাশি মুক্তিপণ চেয়ে ফোনও করা হয় তাঁর বাড়িতে। তারপর নিয়ে আসা হয় মুকুন্দপুর এলাকার ওই হোটেলে। সেখান থেকেই তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশ।
  • Link to this news (এই সময়)